এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির, রাজনৈতিক মহলে প্রশংসার বন্যা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিজেপির, রাজনৈতিক মহলে প্রশংসার বন্যা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে তৃণমূল সরকারের দিকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রেশনিং দুর্নীতি এবং আম্ফান দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা শাসকদল তৃণমূলকে রীতিমত কোণঠাসা করে। কিন্তু বিরোধীরা অভিযোগের আঙুল তুললেও তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ সমানতালে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ধরা পড়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এরকমই একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে মন্দিরবাজার বিধানসভার গাববেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর 13 টি আসনের পঞ্চায়েত দখল করে মন্দিরবাজারের গাববেরিয়ায় বিজেপি। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হন বিজেপির রুপা পুরকাইত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে স্বজনপোষণ, আম্ফান দুর্নীতি এবং দল বিরোধী বিভিন্ন কাজের। দলের তরফ থেকে দুবার শোকজ করলেও তিনি কোন উত্তর দেননি। আর তাই এবার দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন মন্দিরবাজার বিধানসভার গাববেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য ছয় সদস্য।

দল থেকে বহিষ্কার করার সাথে সাথেই তাঁকে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে যিনি গাববেরিয়ার উপপ্রধান, তিনিই এখন দায়িত্ব সামলাবেন প্রধানের। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর থেকেই রুপা পুরকায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি আম্ফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়েও স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরাও তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি দীপঙ্কর জানা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এবং দলের নির্দেশ অমান্য করে দুর্নীতিতে জড়ানোর ফলে রূপা পুরকায়েতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে উপপ্রধান শুভঙ্কর মন্ডল রুপা পুরকায়েতের বিরুদ্ধে এদিন জানান, পঞ্চায়েতে একনায়কতন্ত্র চলছিল। অন্য সদস্যদের কথা শোনা হচ্ছিল না। রুপা পুরকায়েতের বিরুদ্ধে তিনিও দুর্নীতি নিয়ে একই অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের দুর্নীতি সামনে আসার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছে অন্যান্য বিরোধীরা। মন্দিরবাজারের সিপিএম নেতা শরৎ হালদার বিজেপিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে মন্দিরবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক ভট্টাচার্য পুরো ব্যাপারটি অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে তাঁরা সবসময় এগিয়ে আছেন সে কথাও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি অধিগৃহীত পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠছে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মত, একুশের বিধানসভার আগে মন্দিরবাজার বিধানসভার পঞ্চায়েত এলাকায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি যে নজির সৃষ্টি করল, তা আগামীদিনের স্কোরবোর্ডে তাঁদের কিছুটা এগিয়ে রাখবে। অন্যদিকে, গাববেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বহিষ্কৃত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যম তাঁর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!