প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে যখনই চর্চা হয়েছে তখনই বারবার উঠে এসেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্স নামে একটি কোম্পানির নাম। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই কোম্পানির মালিকের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে দীর্ঘক্ষন জেরা হওয়ার পর ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে সেই লিপস এন্ড বাউন্স নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে। যেখানে তিনি দাবি করে বসলেন যে, তিনি এখনও সেই কোম্পানির পদে রয়েছেন। অর্থাৎ বিরোধীরা এতদিন যে অভিযোগ করতো, তা কার্যত এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্বীকার করে নিলেন বাংলার যুবরাজ। তবে এই কোম্পানিতে কোনো দুর্নীতির টাকা যায়নি বলে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা গেল তাকে।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডির দপ্তর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তাকে লিপস এন্ড বাউন্স নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি এখনও সেই কোম্পানির পদে রয়েছি। তবে আপনারা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, সেই কোম্পানিতে নিয়োগ দুর্নীতির বা এসএসসি দুর্নীতির দশ পয়সাও গিয়েছে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাদের, আপনারা প্রমাণ করে দেখান।” অর্থাৎ বিরোধীদের একটা অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও, দুর্নীতির নিয়ে যে অভিযোগ, তাকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধীদের দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্স নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ তারা এতদিন করেছিলেন, তা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন যুবরাজ। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সেই কোম্পানির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এটাও প্রমাণ হয়ে যাবে, সেই সেই কোম্পানিতে দুর্নীতি হয়েছে, আর তাতেই শাসকদলের আসল চিত্র প্রকাশ্যে চলে আসবে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, আইন আইনের পথে চললে সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আসতে বাধ্য। আর তাতে বিরোধীদের মিথ্যা দাবি যে আরও ভিত্তিহীন হয়ে যাবে তা সময় আসলেই প্রমাণিত হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের।