এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ইটের জবাব পাটকেলে! কেমন লাগছে ভাইপো? প্রবল ছটফটানি তৃনমূলের!

ইটের জবাব পাটকেলে! কেমন লাগছে ভাইপো? প্রবল ছটফটানি তৃনমূলের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রায় আট ঘন্টার বেশি সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি থাকতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাইরে বেরিয়ে এসে যে প্রতিহিংসার অভিযোগ তারা করেন, সেই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। তবে এই দীর্ঘ সময় জেরাতে যে ব্যাপক ছটফটানি শুরু হয়েছে ভাইপোর, তা তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই স্পষ্ট। তবে ইটের জবাব এভাবেই পাটকেলে খেতে হয় বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী এবং তার অনুগামীদের রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বারবার জেরা করিয়ে সময় নষ্ট করেছে শাসক দল। ফলে অন্যের ক্ষতি করলে যে নিজেকেও সেই একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা দীর্ঘ সময় জেরার পর কটাক্ষ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, প্রায় আট ঘণ্টার বেশি সময় নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জেরা করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের পক্ষ থেকেও তার ভাই এবং অনুগামীদের কম হেনস্থা করা হয়নি। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা এই জেরা কিছুই নয়। আগামী দিনে এর ফল আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দ্যাখ কেমন লাগে! আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দশ ঘন্টা বসিয়ে রেখেছিল। আমার অনেক ঘনিষ্ঠকে সকাল দশটায় ডেকে রাত্রি দুটোয় ছেড়েছে। এক্ষেত্রে তো কিছুই হয়নি। এতো সবে ভোরবেলা। দুপুর হতে দেরি রয়েছে।”

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে প্রশাসনকে দিয়ে সব চেষ্টা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে অভিযোগ। শুভেন্দুবাবু নিজেও দাবি করেছেন, শুধুমাত্র মামলা মোকদ্দমা এবং আইনজীবীর পেছনেই রাজ্য 295 টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করেছে। যা দিয়ে বিপুল উন্নতি হতে পারত। তবে রাজ্য যদি ভাবে যে, তাদের হাতে রাজ্য পুলিশ রয়েছে , তাই বদলার রাজনীতি করার জন্য বিরোধী নেতাদের ডেকে প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে শুরু করবে, তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিও কিন্তু ছেড়ে দেবে না। যদিও বা কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে বিজেপির কথায় চলে, তার কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তাকে দীর্ঘ সময় জেরা করবে সেই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর তা থেকে যে তৃণমূল নেতারাও বাদ যাবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, ইটের জবাব কিভাবে পাটকেলে দিতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সংস্থার দীর্ঘ জেরায় রীতিমতো বিরক্ত ভাইপো। তবে বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রে এই কাজ যে তার পিসি সমানে রাজ্যে চালিয়ে যাচ্ছে, তখন কি হয়! তখন কেন তারা আনন্দিত হন! সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। স্বভাবতই রাজ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ না করলে অদৃষ্টের নিয়মেই তাকে এবং তার দলকে সেই একই ফ্যাসাদের মুখে পড়তে হবে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!