এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুজোর মধ্যেও ফের নয়া ঢঙ্গে যুবরাজ! সততার প্রমান দিন, বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

পুজোর মধ্যেও ফের নয়া ঢঙ্গে যুবরাজ! সততার প্রমান দিন, বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার যুবরাজের নাটক কিছুদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু দেবীপক্ষ পড়তেই ফের তার নাটক মঞ্চস্থ হলো বাংলার রাজনীতিতে। তিনি আবার প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি যে সততার প্রতীক, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেন। এমনকি এটাও বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তার বিরুদ্ধে নাকি মিথ্যে তদন্ত চলছে। তাকে জব্দ করতে নাকি প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করা হচ্ছে। তবে তার এই নাটক দেখতে দেখতে বাঙালি হতাশ। তাই এই সমস্ত কথা আর উৎসবের মুহূর্তে শুনতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বিরোধীরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন। কিন্তু যুবরাজ তা শুনবেন কেন? তিনি ভাবছেন যে, তার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, মানুষ হয়ত তাকে খারাপ ভাবতে শুরু করেছে। তাই তাকে এবার মানুষের সামনে প্রমাণ দিতেই হবে যে, তিনি জননেতা। তিনি রাজনেতা। কিন্তু মানুষ তো তার সম্পর্কে যা ভাবার তা ভেবেই নিয়েছেন। তাই এসব কথা বলে নতুন ঢঙ্গে অবতীর্ণ হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো বলেই কটাক্ষ বিজেপির।

প্রসঙ্গত, আজ নিজের সংসদীয় এলাকার ডায়মন্ডহারবারে একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “অনেক চেষ্টা করছে, আমি যেন বশ্যতা স্বীকার করি। অনেক ভাবে আমাকে থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাকে গলা কেটে দিলেও বশ্যতা স্বীকার করাতে পারবে না। আপনাদের আশীর্বাদ যদি আমার সাথে থাকে, তাহলে কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।” আর এখানেই একাংশ বলছেন, সর্বভারতীয় যুবরাজের মাথায় রাখা উচিত, তাকে কেউ বশ্যতা স্বীকার করতে বলেনি। তিনি এমন কোনো বড় নেতা হয়ে যাননি যে, তাকে প্রয়োজন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের। বাংলায় যিনি নিজের দল সামলাতে পারেন না, যে দলে প্রতিদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়, সেই দলের নেতা হয়ে যিনি দুর্নীতির পাহাড়ে বসে আছেন, তার মুখ থেকে এত বড় বড় কথা মানায় না। তাই তাকে বশ্যতা স্বীকার করতে হবে না। অন্তত তদন্তকারী সংস্থা যখন ডাকছে, তখন তাদের মুখোমুখি হন। তাহলেই প্রমাণ হবে, তিনি মস্ত বড় বীর এবং তিনি যদি ঠিকভাবে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই সকলে তার কথা মেনে নেবে বলেই দাবি সমালোচকদের।

তবে পুজোর মধ্যে আবার নতুন করে ভাইপোর ঢং দেখে রীতিমত বিরক্ত রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি‌। তারা ইতিমধ্যেই যুবরাজের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গটা আপনার এবং আপনার পিসির হতে পারে। কিন্তু সারা ভারতবর্ষে নিয়ম কানুন বলে একটা কথা রয়েছে। তাই দোষ করলে সাজা আপনাকে পেতেই হবে। দুর্নীতি যখন হয়নি, আপনি যখন সততা নিয়ে লড়াই, আন্দোলন করছেন, তখন যে তদন্ত চলছে, সেই তদন্তে সহযোগিতা করুন। যখনই ইডি ডাকে, তখনই কেন আপনি আদালতে ছুটে যান? আপনি তো এক পয়সাও নাকি নেননি! এক পয়সাও দুর্নীতির সঙ্গে আপনি এবং আপনার পরিবার নাকি জড়িত নন! তাহলে আপনার পরিবারের একাধিক সদস্যকে কেন ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? হতে পারে, তদন্তের জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে। তাহলে তো সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। সেখানে লুকিয়ে পালিয়ে বেড়ানো কি বীরত্বের কাজ? আপনার কাছ থেকে অন্তত এই ধরনের বড় বড় কথার পর এই ধরনের কাজ আশা করা যায় না। তাই কারও কাছে বশ্যতাশিকার না করে তদন্ত প্রক্রিয়া যেভাবে চলছে, তাতে সহযোগিতা করুন। তাহলেই দুধ এবং জল আলাদা হয়ে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যুবরাজ খুব ভালোমতো জানেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি তার বিরুদ্ধে একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই তার পিএকে জেরা করার প্রক্রিয়া চলছে, তার কাছ থেকেও বেশ কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে। তাই মনে মনে বেশ ভয়ে রয়েছেন বাংলার যুবরাজ। ফলে যে কোনোভাবে মানুষের কাছে তিনি এটা প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তার এই লালিপপ মার্কা কোথায় সাধারণ মানুষ গলবে না। কারণ সকলেই সর্বভারতীয় ভাইপো এবং তার দলের দুর্নীতি বুঝে গিয়েছেন। তাই দেবীপক্ষের সময় এই ধরনের নতুন ঢঙে অবতীর্ণ হয়ে যুবরাজ এই নয়া নাটকটা যত কম করবেন, ততই বাংলা ও বাঙালির পক্ষে তা সুখকর। ফলে নাকে কান্না না কেঁদে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করুন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!