এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এত দুর্নীতি তৃনমূলের? ভাইপোর পিএকে নিয়ে বড়সড় তথ্য ফাঁস! চমকে দিলেন শুভেন্দু!

এত দুর্নীতি তৃনমূলের? ভাইপোর পিএকে নিয়ে বড়সড় তথ্য ফাঁস! চমকে দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন ভাইপোকে ডাকাডাকি করেছে ইডি। কখনও তিনি এসেছেন, কখনও তিনি আসেননি। কখনও না এসেই বাইরে থেকে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার তার আপ্তসহায়ককে জেরা করছে ইডি।‌ প্রথম যখন সুমিত রায়কে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তখন বিরোধীরা বলেছিলেন যে, এবার ইডি ঠিক জায়গায় ধরেছে। এই সুমিতবাবুকে জেরা করলেই তারা সঠিক তথ্য পাবে এবং তারপর তারা একদম মূল পর্বে চলে যেতে পারবে। আর তখন অনেক বড় বড় রাঘব বোয়াল ধরা পড়বেন। তবে আজ যখন সেই জেরা চলছে, ঠিক তখনই এক ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে তথ্য নিয়ে বর্তমানে জোরালো আলোচনা চলছে রাজ্যজুড়ে। শুভেন্দু অধিকারীর কথা অত্যন্ত মারাত্মক এই কারণে, কারণ তিনি দীর্ঘদিন এই তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করেছেন। তাই তিনি গোটা তৃণমূল পরিবারের আটঘাট জানেন। কোথায় কে কি করেছেন, তার সবটাই তার মুখস্ত। ফলে সুমিত রায়কে নিয়ে প্রশ্ন করতেই শুভেন্দু অধিকারী এমন এক কথা বললেন, যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার মত। বিরোধীরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, আজ ইডির দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ফলের পেটিতে টাকা আসত। ও ওগুলো গুছিয়ে রাখত।” একাংশের মতে, নিঃসন্দেহে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূলের যদি এতই সৎ সাহস থাকে, তাহলে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যকে তারা চ্যালেঞ্জ করুক, তার ব্যবস্থা নিক। কিন্তু সেইটা করার মত দম বা মুরোদ কিছুই নেই। কারণ তারা খুব ভালো মতো জানে, যে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তার পেছনে তাদের অনেকেও জড়িত। আর সঠিক তদন্ত যেভাবে শুরু হয়েছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলের অনেকেই ভেতরে যেতে শুরু করবেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে বোমা ফাটিয়ে দিলেন, তাতে চাপে পড়ে গেলেন বড় বড় গলায় বড় বড় কথা বলা বাংলার যুবরাজ বলেই মত সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, সর্বভারতীয় যুবরাজকে জেরা করার আগে তার পিএকে জেরা করা অনেক বেশি জরুরী। কারণ তার কাছ থেকে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে, সেই তথ্য দিয়ে যুবরাজকে বেঁধে রাখা অনেকটাই সহজ হবে। তার পিএ অনেক চেষ্টা করেছিলেন, যাতে জেরার মুখোমুখি হতে না হয়। কিন্তু কোনোটাতেই কিছু লাভ হলো না। তারা তো অনেক বড় বড় সততার কথা বলেন, তারা নাকি এক পয়সার দুর্নীতি করেননি! তাহলে ফলের পেটিতে টাকা আসার যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে কিছু বলুন বাংলার যুবরাজ। পিএকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে এখন কি তিনি তার মাথা থেকেও হাতটা সরিয়ে নেবে? হিম্মত রয়েছে তো, এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার? যদি সেই হিম্মত না থাকে, তাহলে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ থাকলে জেরার মুখোমুখি হন। তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন, তাহলেই সত্য উদ্ধার হবে এবং যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তারা আশ্বস্ত হবেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভাইপোকে জেরা করা এবং তার পিএকে জেরা করা দুটো একই বিষয়। কারণ ভাইপোর সমগ্র বিষয়ে খুব ভালো করেই জানেন তার এই আপ্তসহায়ক। তাই তাকে জেরা করলে অনেক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসবে, এটা নিয়ে দ্বিমত নেই কারওর মধ্যেই। ফলে তদন্ত যখন চলছে, তখন সেই আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় যুবরাজের আপ্তসহায়কের ব্যাপারে ভয়ংকর মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এতদিন তিনি যে অভিজ্ঞতার সাক্ষী, তিনি এতদিন তৃণমূলে থেকে যে দৃশ্য দেখেছেন, তাই এবার ফাঁস করে দিলেন। ফলে এক পয়সাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে যারা দাবি করেন, তারাই এবার শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। যদিও বা সেই সাহস এবং ক্ষমতা কোনোটাই নেই বাংলার যুবরাজের। তা না হলে তার বিরুদ্ধে এত যখন চুরির অভিযোগ উঠছে, এত দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তখন তিনি অনেক দিন আগেই পদক্ষেপ নিতে পারতেন‌‌। কিন্তু তা করতে পারছেন না। শুধুমাত্র পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন তিনি এবং তার ঘনিষ্ঠরা। কারণ, তারা খুব ভালো মতো জানেন যে, দুর্নীতির দায়ে আজ না হোক কাল তাদের ধরা পড়তেই হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!