এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে দুর্নীতিতে নয়া মোড়, চরম ফ্যাসাদে পড়তে চলেছেন মমতার মন্ত্রী? সরব বিরোধীরা!

রাজ্যে দুর্নীতিতে নয়া মোড়, চরম ফ্যাসাদে পড়তে চলেছেন মমতার মন্ত্রী? সরব বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শিক্ষা নিয়োগ থেকে শুরু করে গরু পাচার, বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। সবদিক থেকেই তৃণমূল একটা আশঙ্কা এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে যে, আগামী দিনে আরও অনেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়তে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আশঙ্কাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই চালকল মালিকের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীরা জড়িয়ে রয়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে এবং তাকে ঠিকভাবে জেরা করলে অনেকেই গ্রেপ্তার হবেন।

আর এবার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি এমন একটি কথা বললেন, যাতে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। আগামী দিনে যদি সুকান্তবাবুর কথামতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে জেরা করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাহলে অশনি সংকেত তৈরি হবে তৃণমূল পরিবারে। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই চালকল মালিকের সঙ্গে আরও অনেক ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছে‌। অনেক চাল বাইরে পাচার হয়েছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত আছে। এর আগের খাদ্যমন্ত্রী যিনি ছিলেন, তার এলাকাতেও প্রচুর ট্রাক ভর্তি চাল পাওয়া গিয়েছিল।” বলা বাহুল্য, রাজ্যে রেশন বন্টন দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই কারণেই এই বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। আর এবার সুকান্ত মজুমদারের কথাতেও সেই মন্ত্রীর কথা উঠে এলো। এখন তিনি খাদ্যমন্ত্রী না থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য‌‌। তাই ঠিকমতো তদন্ত হলে তাকে ডাকতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে এই তৃণমূল সরকার। কোটি কোটি টাকা লুট করেছে তারা। যে কারণে তাদের অনেক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলে রয়েছেন। আগামী দিনে সেই তালিকা আরও বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা নিয়োগের পর এবার রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়োগ চরম মাত্রা নেবে। রাজ্যে কত কত নেতা-মন্ত্রীরা যে চাল লুট করেছেন, মানুষের খাদ্য লুট করে নিজেদের পকেটে টাকা ভরিয়েছেন, তা ধীরে ধীরে ফাঁস হবে। আর তখন সততার প্রতীক এই তৃণমূল দলের আসল চিত্রটা সামনে চলে আসবে। মানুষ এমনিতেই জানে, তৃণমূল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তবে সেই তালিকা এবার যেভাবে বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে, তাতে আগামী দিনে এই দলের ঠগ বাছতে গা উজার হয়ে যাবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুকান্ত মজুমদার এদিন যে তথ্য দিলেন, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। শুভেন্দু অধিকারীর পর তিনি একই সুরে সুর মিলিয়েছেন। যার ফলে ক্রমাগত স্পষ্ট হচ্ছে যে, এবার বিপদ আরও আসন্ন তৃণমূলের কাছে। আরও এক হেভিওয়েট মন্ত্রী এবার জেরার মুখে পড়তে পারেন। যদিও বা কেন্দ্রীয় সংস্থা কি করবে, তা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে বিরোধীদের দাবি যে, রাজ্যের আগের খাদ্যমন্ত্রীকে জেরা করলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে। কারণ পুরো দলটাই এই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল বড়সড় বিপদে পড়বে। সুকান্তবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!