এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পদ হারিয়ে ‘বিক্ষুব্ধ’ রাহুল সিনহা করলেন মহাবৈঠক! নিতে চলেছেন বড়সড় পদক্ষেপ? জানুন বিস্তারে

পদ হারিয়ে ‘বিক্ষুব্ধ’ রাহুল সিনহা করলেন মহাবৈঠক! নিতে চলেছেন বড়সড় পদক্ষেপ? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে এককালে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতদিন বিজেপির সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। আর রাহুলবাবুকে সরিয়ে অনুপম হাজরাকে সেই দায়িত্বে বসাতেই রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় রাহুলবাবুকে।

যেখানে তিনি বলেন, “40 বছর ধরে বিজেপি করার পুরস্কার পেলাম। তৃনমূলের কেউ আসছে, তাই আমাকে সরে যেতে হল। 10 থেকে 12 দিনের মধ্যে আমি আমার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব।” স্বভাবতই অনুপম হাজরা তার জায়গায় আসা এবং তিনি কোনো জায়গা না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করা রাহুল সিনহার মনে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। যার ফলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে করেছিলেন, এবার হয়ত রাহুল সিনহা কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি দলবদলের মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেন দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করা এই হেভিওয়েট নেতা, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিভিন্ন নেতার গলায় সেই রাহুল সিনহাকে নিয়ে প্রশস্তির সুর শোনা যেতে শুরু করেছিল। অর্থাৎ কোনোভাবেই যাতে রাহুলবাবু দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য বিজেপি নেতারা তার প্রতি সুর নরম করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাহুলবাবু নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি। আর এই পরিস্থিতিতে তার সাথে বৈঠক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। যাকে কেন্দ্র করে নানা মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষি আইনের সমর্থনে রাজ্যজুড়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিবপ্রকাশ। আর তার মাঝেই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার সঙ্গে বৈঠক হয় তার। জানা গেছে, রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বাংলার বেশ কিছু বিজেপি নেতার। কিন্তু পদ থেকে সরে যাওয়ার পর রাহুল সিনহাকে সেখানে ডাকা হয়নি। তবে এদিন শিবপ্রকাশ সেই বৈঠকে থাকবার জন্য রাহুলবাবুকে আবেদন করেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা ঘনিষ্ঠমহলে রাহুলবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, তার যখন কোনো পদ নেই, তখন তিনি কীভাবে সেই বৈঠকে যাবেন! অর্থাৎ তাকে তার জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, রাহুল সিনহার ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে দিয়েই তা পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কি শিবপ্রকাশের মতো বিজেপি নেতা তার মান ভাঙানোর জন্য চেষ্টা করলেও, তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন? নেবেন কোনো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত?

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাহুল সিনহা এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি প্রথম থেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই একসময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে থাকার পর পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু এমন একজন হেভিওয়েট নেতাকে সম্প্রতি সাংগঠনিক রদবদলের তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে তৃণমূল থেকে আগত অনুপম হাজরাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাহুল সিনহা। পরবর্তী সময়কালে তার নানা মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আর এভাবে বর্তমান সময়ে তিনি কী করবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল সিনহার কোনো রকম সিদ্ধান্ত যাতে প্রভাব না ফেলে, তার জন্যই বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে এসে তার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করে মান ভাঙানোর চেষ্টা করলেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন শেষ পর্যন্ত রাহুল সিনহা এই ব্যাপারে কি উদ্যোগ নেন, কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আলোচনার পর তার ক্ষোভ মিটে যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!