অধ্যাপকদের কর্মবিরতির খবর পেতেই আসরে নামলেন খোদ রাজ্যপাল যোগদান ধনকার কলকাতা রাজ্য October 28, 2019 রাজ্যের রাজ্যপাল পদাধিকারবলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্যও বটে। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পর কিছুদিন আগেই রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন জগদীপ ধনকার। দায়িত্ব নেওয়ার পরই কার্যত সমস্ত বিষয়ে নজরদারি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে আচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে থাকা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শৃংখলার প্রতি নজর দেওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে তার মন্তব্য অনেক সময় অস্বস্তিতে ফেলেছে সরকারপক্ষকেও। তবে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এমন রাজ্যপালকেই দরকার বলে দাবি করেছেন একাংশ। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার কর্মবিরতিকে সামাল দিতে পথে নামতে দেখা গেল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকারকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, ইউজিসির সপ্তম বেতনক্রম কার্যকর না পাওয়ার প্রতিবাদে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কিন্তু এইভাবে যাতে অধ্যাপক সংগঠন কর্মবিরতির ডাক না দেয়, তার জন্য রবিবার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে কথা বলেন আচার্য জগদীপ ধনকার। কিন্তু ঠিক কি কি কারণে জুটার এই কর্মবিরতি! জানা গেছে, বেতনক্রমের পাশাপাশি স্ট্যাস্টিউট অব এমিনেন্স, স্ট্যাটিউট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া রয়েছে। কিন্তু এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে কি বরফ গলল! এদিন এই প্রসঙ্গে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। কবে রাজভবনে যাওয়া হবে, তা বৈঠকে ঠিক হবে। তারপরই রাজভবনকে দিনক্ষণ জানানো হবে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এর আগেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক কর্মবিরতি হয়েছে। কিন্তু কোনো আচার্যই এইভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে এবার একটি অধ্যাপক সংগঠনের এই কর্মবিরতিতে জগদীপ ধনকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে একাংশ। অনেকে আবার রাজ্যপাল হিসেবে রাজভবনের প্রধান ব্যক্তির এই পদক্ষেপকে অতি সক্রিয়তা হিসেবেই দায়ী করতে শুরু করেছেন। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে প্রথম থেকেই যে জগদীপ ধনকার অতি সক্রিয় এবং এতে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে মঙ্গলের দিকেই এগোবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -