এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালির প্রতিরোধ, লোকসভায় জব্দ হবে তৃণমূল! আশাবাদী শুভেন্দু!

সন্দেশখালির প্রতিরোধ, লোকসভায় জব্দ হবে তৃণমূল! আশাবাদী শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন পুলিশ এবং তৃণমূল নেতার ভয়ে সাধারণ মানুষরা কথা পর্যন্ত বলতে পারতেন না। সন্দেশখালি এলাকাকে উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে তৈরি করেছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। কিন্তু এখন সেখানে খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। নারী শক্তি পুলিশের চোখে চোখ রেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, আর কোনো কিছুর ভয় তারা পান না। আর লোকসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন সন্দেশখালিতে এই গণ প্রতিরোধ কিছুটা হলেও আশার আলো তৈরি করেছে এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা গণতন্ত্র প্রেমী সাধারন মানুষদের মধ্যে।

সকলেই বলছেন যে, এবার কি তাহলে এই তৃণমূল সরকারের বিদায়ের সময় হয়ে গেল? যেভাবে মানুষ কোনো কিছুর পরোয়া না করে রাস্তায় নামছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলছে, তাতে কি আরও একটা পরিবর্তন আসতে চলেছে এই রাজ্যে! শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর কিন্তু আরও বেশি করে গণতন্ত্র প্রেমী মানুষরা আশাবাদী হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন যে, লোকসভা নির্বাচন এলেই বোঝা যাবে, এই সরকারকে আর পছন্দ করছেন না জনতা জনার্দন। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে মাতৃশক্তি, নারী শক্তি জেগে উঠেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, কি হতে চলেছে! 2011 এর আগেও নন্দীগ্রামে এমনটা হয়েছিল। এক্ষেত্রেও সন্দেশখালিতে মা বোনেরা রাস্তায় নেমেছে। আগামী দিনে এর ফল বুঝতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় তারা এর ফল পেয়ে যাবে।” অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী আজ থেকে লড়াই করছেন না। তিনি মানুষের পালস খুব ভালো মতো বোঝেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রাতারাতি ক্ষমতায় পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মাটি কামড়ে নন্দীগ্রামে পড়ে থেকে সেই বাম আমল থেকে লড়াই কাকে বলে, আন্দোলন কাকে বলে, সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন এই রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা।ফলে তিনি বুঝতে পারেন যে, মানুষ কি চাইছেন! তাই সন্দেশখালিতে একের পর এক জনতার প্রতিরোধ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, নন্দীগ্রামের মতই মানুষ কিন্তু এবার পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দিচ্ছে। তাই আগামী লোকসভায় যদি সঠিকভাবে নির্বাচন হয়, তাহলে সন্দেশখালির পথেই হাঁটবে গোটা বাংলা। আর তাতেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের শেষের সময় হয়ে গিয়েছে। আগামী দিন অত্যন্ত ভয়ংকর। এই শাসক দলের সবাই চুরি, দুর্নীতিতে জড়িত। আর সেটা সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছেন বলেই এখন তারা প্রতিবাদ করতে দুই মিনিট সময় নিচ্ছেন না। সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে নারী শক্তি জেগে উঠেছে, আগামী দিনে গোটা রাজ্যে তার প্রতিফলন হবে। লোকসভায় এর ফল হাতেনাতে পেয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মানুষ গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মত সাহস পেয়ে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে এতদিন অনেক ভয় ছিল যে, শাসক দলের পক্ষ থেকে হুমকি আসবে, পুলিশ কি বলবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছু ভয়কে উপেক্ষা করে মানুষ বেছে নিয়েছে প্রতিবাদের পথ। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন যে, গুটিয়ে গেলে চলবে না। এবার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদটা করতে হবে। তাই মানুষ যখন একবার সাহস পেয়ে গিয়েছেন, তখন সন্দেশখালি থেকে সাহস পাচ্ছেন গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তৃণমূলের দ্বারা অত্যাচারিত মানুষজন। তারা এবার ভাবছেন, তৃণমূল এতদিন অনেক অত্যাচার করেছে। কিন্তু এবার যা হবে, দেখা যাবে। তবে ভোটবাক্সে অন্তত এই সরকারের বিরুদ্ধে রায়টা দিয়ে জানান দিতে হবে যে, তারা আর তৃণমূলকে চাইছেন না। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য কিন্তু আরও একটা পরিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!