এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > “বানের জলে ভেসে আসিনি” বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা, কড়া হুশিয়ারি শুভেন্দুর!

“বানের জলে ভেসে আসিনি” বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা, কড়া হুশিয়ারি শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধী দলকে সামান্য সহ্য করার মত ক্ষমতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে হারিয়ে ফেলছেন। তিনি ধৈর্য ধরতে পারছেন না, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে। বাজেট অধিবেশনের পর যখন বিরোধীরা বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন বিধানসভার কিছু কর্মচারী, যারা তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে, তাদের দিয়ে যেভাবে বিরোধীদের হেনস্থা করা হয়েছে, তা নিয়েই এবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে যারা এই কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যে আইনি পথেও হাঁটা হবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন তৃণমূল বলতেই পারে যে, এসব করে লাভের লাভ কিছু হবে না। কিন্তু এর আগেও অতীতে বেশ কিছু সময় এই রাজ্যের সরকারকে কি করে টাইট দিতে হয়, তা আদালত থেকে জয় নিয়ে এসে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রেও তাকে এবং তার দলকে যেভাবে বিধানসভায় হেনস্থা করা হয়েছে, তা নিয়ে তিনি যে শেষ দেখে ছাড়বেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আজ বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর মনে করা হচ্ছে যে, এবার বড় একটা বেকায়দায় পড়তে চলেছে এই রাজ্যের সরকার। বিধানসভার কর্মচারীরা নিজেরা করে থাকুন বা কারও নির্দেশে করুন, তারা যে এই কাজটা ভুল করেছেন এবং এর যে চরম পরিণতি হতে পারে, তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি। আমরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত। এরপরেও আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে বিধানসভার ভেতরে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। যারা যারা এই কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় যাব। থানায় যদি কাজ না হয়, তাহলে আদালতে যাওয়া হবে।” অর্থাৎ আইনি রাস্তায় হেঁটে এই সমস্ত অশান্তি সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের যে জব্দ করা হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কি ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এসব করে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো যাবে! ভেবেছিলেন, ভয় পেয়ে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! কিন্তু তিনি ভুলে গিয়েছেন যে, এটা বাম বা কংগ্রেসের মত মিনমিন করে কথা বলা দল নয়। এই দলের নাম বিজেপি। আর বিরোধী দলনেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করতে জানে বিজেপি। তাই তাদেরকে ভয় দেখিয়ে, হেনস্থা করে যদি কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়, তাহলে তাদের সেই কন্ঠের মধ্যে থেকে উচ্চারিত প্রতিবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি‌ তাদের দাবি, ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে, তার শেষের সময় চলে এসেছে। আর বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দেওয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তখন এইসব কর্মচারীদের দিয়ে বিধানসভার ভেতরে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। তবে এসব করে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। মানুষ সব দেখছে। আগামী দিনে ভোট বাক্সে তারা তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কি দরকার ছিল বিধানসভায় এইরকম হেনস্থা করার! এইরকম অশান্তি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেই একটা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলেন। যদি তিনি নিজেই এই নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যে একেবারেই নেই, তিনি যে আর শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে ঠিক থাকতে পারছেন না, তা প্রমাণিত। আর যদি তিনি এই নির্দেশ না দিয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে যে, তৃণমূলের এই নীচুতলার নেতারা কতটা অহংকারী এবং ঔদ্ধত্যে পরিপূর্ণ হয়েছেন! যার কারণে এরা বিরোধী দলনেতাকেও অমর্যাদা করতে দুইবার ভাবছে না। তবে এটা অন্য কোনো বিরোধী দলনেতা নন। এর নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই গণতন্ত্রের পীঠস্থানে দাঁড়িয়ে হেনস্থা হবে বিরোধী দল, আর শুভেন্দুবাবু চুপ থাকবেন, এটা হতে পারে না। ফলে যারা এই কাজ করেছেন, তারা এবার নিজেদের দুঃসময় দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। আইনি পথে কি করে তাদের জবাব দিতে হয়, কি করে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের এই সমস্ত চুনোপুটি নেতাদের শিক্ষা দিতে হয়, সেটাই করে দেখাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!