জ্বলছে বাংলা, সন্দেশখালি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ অমিত শাহের? চিঠি দিলেন সুকান্ত! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 10, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যিই আজকে আইন-শৃঙ্খলা বলতে এই বাংলায় কিছু নেই। প্রতিমুহূর্তে দুষ্কৃতীদের হাতিয়ার করে পুলিশ প্রশাসন মিলে সাধারণ গ্রামবাসীদের প্রতি যে অত্যাচার চালিয়েছে, এবার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন। সন্দেশখালি মানুষের বক্তব্য তেমনটাই। শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে এখানে তৃণমূল নেতারা এতদিন অনেক অত্যাচার করেছেন। কিন্তু মানুষ প্রতিরোধ করতেই পুলিশের পক্ষ থেকে এবং তৃণমূলের গুন্ডারা সাহস পেয়ে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেই গুন্ডাদের আশ্রয় দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ বলে দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে যখন সন্দেশখালীর ঘটনায় সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন, তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন, তখন কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার! এবার কি আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনো স্টেপ নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! সুকান্ত মজুমদারের একটি পদক্ষেপের পর এই জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কিন্তু কি এমন করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি! যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, এবার এই সন্দেশখালির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার? প্রসঙ্গত, বর্তমানে সন্দেশখালিতে কি চলছে, কিভাবে সেখানকার মানুষ চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে এই সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন, তা সকলেই দেখেছেন। তবে সাধারণ মানুষ যখন রুখে দাঁড়াচ্ছে, তখন তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়ে নিজেদের গুন্ডাদেরকে সামনে রেখে পাল্টা সেই মানুষজনের ওপর হামলা করতেও বাকি রাখছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যেখানে তিনি আবেদন করেছেন, যাতে অবিলম্বে সন্দেশখালির এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গ্রহণ করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এর আগেও তো একাধিকবার বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিন্তু তখন বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হলেও, কেন্দ্রীয় সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এবার কি সেরকম কিছু হবে? অনেকে বলছেন, কেন্দ্র এই বাংলা নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট পেয়েছে। তাই সুকান্ত মজুমদারের চিঠির পর বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে ঠিক করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে করতেই পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির দাবি, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সাধারণ মানুষ যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন, সেখানে তাদেরকেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। রাজ্যের মানুষ চাইছে, অবিলম্বে এই সরকার বিদায় নিক। সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসার জায়গা কেন্দ্রীয় সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে একটি শ্রেণীকে তোষণ করে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ফুলছেন, তাতে এই অন্যায় আর মেনে নেওয়া যায় না। তবে সাধারণ মানুষ জাগতে শুরু করেছে। তাই অচিরেই রাজ্যের এই ফ্যাসিস্ট সরকার ধ্বংস হয়ে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভয়ংকর এক জায়গায় এই রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভেবেছেন, যা খুশি তাই করা যায়। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর তার সরকারের কিছুটা হলেও শিক্ষা হওয়া উচিত ছিল। তবে তা হয়নি। তা না হলে পাল্টা সাধারণ মানুষদের উপর আক্রমণ নেমে আসতে পারত না। তাই এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসার জায়গা কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই পারেন, এই রাজ্যের তোলামূলের নেতাদের টাইট দিতে। ফলে সুকান্ত মজুমদারের চিঠির পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আশায় রয়েছে গোটা রাজ্যবাসী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -