এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট লুটের কারণেই গ্রেপ্তার আরাবুল, মমতার বড় চক্রান্ত! পর্দাফাঁস শুভেন্দুর!

ভোট লুটের কারণেই গ্রেপ্তার আরাবুল, মমতার বড় চক্রান্ত! পর্দাফাঁস শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-  এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ ধর্ম পালন করতে জানেন বা পালন করেন, এটা মানতে কিছুটা হলেও অসুবিধে হচ্ছে সকলেরই। কারণ পুলিশকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং কি করে রাজনৈতিক কাজে এই পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের বাধাদান করতে হয়, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তেমন কেউ জানে না। এই রাজ্যে পুলিশের পরিচয়কে সম্পূর্ণরূপে অন্য পথে নিয়ে গিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান। তবে সকলকে আশ্চর্য করে হঠাৎ করেই তৃণমূলের রত্ন বলে পরিচিত আরাবুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। আর সেই বিষয়টি নিয়েই অনেকে বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধর্ম পালন করেছেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, আইন আইনের পথেই চলবে। কিন্তু সাময়িক ভাবে আরাবুল ইসলাম গ্রেপ্তার হলেও তাকে রক্ষা করতে চাইছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজধর্ম পালন তো দূরের কথা, আরাবুল ইসলামকে তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবেই গ্রেফতার করিয়ে একটা আইওয়াশ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হলো? কি এমন উদ্দেশ্য রয়েছে এই রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর! শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর সকলেই বলছেন যে, এত সহজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে নেওয়া সত্যিই ভুল হবে। যে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে সবসময় বিপথে পরিচালিত করেন, তিনি নিজের দলের নেতাকে এত সহজে গ্রেফতার করে নেবেন, পুলিশকে নির্দেশ দেবেন, এটা মানতে পারেননি অনেকেই। সেদিক থেকে বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পর আরও সেই ভাবনাতে সিলমোহর পড়লো বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার স্পষ্ট বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যদি রাজধর্ম পালন করছেন ভেবে থাকেন, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। তিনি কোনো রাজধর্ম পালন করছেন না। এই আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই আরাবুল ইসলামকে এখন গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটের সময় তাকে বের করে নিয়ে ভোট লুট করানো যায়, সেই চেষ্টাই করবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এখন তিনি বাইরে থাকলে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এখন তাকে জেলের ভিতর ঢুকিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাতে অভিযোগের আঙ্গুল না ওঠে, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কারসাজি বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত সহজে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে নিজের দলের নেতাকে তুলিয়ে নেবেন, এটা বিশ্বাস করতে অনেকেরই প্রথমে কষ্ট হয়েছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে ইঙ্গিত দিলেন, সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কত বড় চক্রান্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার করতে চলেছেন!

বিজেপির দাবি, আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করা একটা আইওয়াশ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই চালাকি সকলেই ধরে ফেলেছেন। তিনি যদি ভাবেন, এসব করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত সব থেকে বেশি হয়েছে এই তৃণমূল সরকারের আমলে। তাই এখন দুই একজন নেতাকে গ্রেফতার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো সাজার চেষ্টা করলেও তার নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে যাতে বিতর্ক না তৈরি হয়, তার জন্য যে সমস্ত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের দুই একজনকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। তবে সঠিক সময়ে আবার তাদের জেল থেকে বের করে এই রাজ্যের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালির ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার গোটা সরকার ভয় পাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছেন যে, জনতার প্রতিবাদ যদি শুরু হয়, তাহলে ক্ষমতা ভোগ করা তো দূরের কথা, ক্ষমতায় টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখন মানুষের কাছে ভালো সাজার জন্য আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর এই আশঙ্কা ক্রমশ দানা বাঁধছে যে, এই গ্রেফতারি শুধুমাত্র আইওয়াশ। ভবিষ্যতে এই আরাবুল ইসলামকে দিয়েই তৃণমূল ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করবে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে যাতে ভোট লুট করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না আসে, তার জন্যই এখন আরাবুল ইসলামকে আন্ডার গ্রাউন্ড করে রেখে এই সরকার একটা বড় চক্রান্তের বেড়াজাল তৈরি করতে চাইছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!