এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জনরোষের ফল কি হয়, হারেহারে টের পাচ্ছেন মমতা! গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

জনরোষের ফল কি হয়, হারেহারে টের পাচ্ছেন মমতা! গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালি বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা কোনো কিছুকে ভয় পান না। এতদিন অনেক ভয় দেখিয়ে তাদেরকে চুপ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর তৃণমূল নেতাদের ইন্ধনে হামলা হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই সেই সন্দেশখালি জাগতে শুরু করেছে। এখন মহিলারা রাস্তায় নেমে তৃণমূল নেতাদের জবাব দিচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলে সেই গ্রামবাসীরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, তারা আর অন্যায় সহ্য করবেন না। এমনকি তাদের জনরোষ এমন ভাবে আছড়ে পড়েছে যে, আজকে তৃণমূল নেতার শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে এই সমস্ত কিছুই যে তৃণমূলের নিজেদের ওদ্ধত্যের জন্য, তৃণমূল নেতারা যেভাবে নিজেদের সর্বেসর্বা ভেবেছিলেন, তার জন্যেই যে মানুষ তাদের ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। তা না হলে মানুষের এত বিক্ষোভ আছড়ে পড়ত না। আর সেই প্রসঙ্গেই এবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে একটি প্রশ্ন করা হয়। যেভাবে সন্দেশখালি জ্বলছে, তাতে কি বলবেন! আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 12-13 বছর ধরে এখানে যে অত্যাচার হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই এই জনরোষ আছড়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, ঠিক কথাই বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ, এই এলাকা উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত ছিল। এখানে বিরোধীরা তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষদেরও কথা বলার অধিকার ছিল না। সবটাই ঠিক করে দিতেন তৃণমূল নেতারা। ফলে মানুষ আর সহ্য করতে পারছেন না। তাই নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছ। তাই এখন থেকেই তৃণমূল নিজেদের শুধরে নিক। তা না হলে গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বীতশ্রদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের জনরোষ এইরকম ভয়াবহ আকার নেবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা নেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের। তারা বুঝতে পারছে যে, সব হাতের বাইরে বেড়িয়ে যাচ্ছে। এবার শেষের সময় চলে এসেছে। সন্দেশখালি পথ দেখিয়েছে। আগামী দিনে এই প্রতিবাদ ভোটবাক্সে আছড়ে পড়বে। করুন পরিনতি হবে তৃনমূল কংগ্রেসের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রথম থেকেই রাজধর্ম পালন করতেন, তাহলে আজ এই অবস্থা হত না। ভোট লুট থেকে শুরু করে সন্ত্রাস, সন্দেশখালির পরিস্থিতি জঘন্য করেছে তৃনমূলই। তাই এতদিন সাধারণ মানুষ চুপ করে থেকেছিলেন। কিন্তু এবার নিজেদের বাঁচার রাস্তা খুজে পেতেই তারা রাস্তায় নেমেছেন। মানুষের প্রতিবাদ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ক্ষমতার অহংকারে ডুবে থাকা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোই বুঝতে পারছেন। তিনি এটাও বুঝতে পারছেন, সন্দেশখালি পথ দেখালো, এবার গোটা বাংলাতেই হয়ত তার দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ সব ভয়কে উপেক্ষা করে রাস্তায় নামবে। আর মানুষ যদি একবার শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেয়ে যায়, তাহলে বিদায় নিতে খুব বেশি সময় লাগবে না তোলামূল নামক ফ্যাসিস্ট কোম্পানির। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!