এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল! রাজনৈতিক বিশ্রামে মমতা, বড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর!

বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল! রাজনৈতিক বিশ্রামে মমতা, বড় ইঙ্গিত শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  এই রাজ্যের মানুষ এতদিনে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে বুঝে গিয়েছেন যে, তিনি যা বলেন, অন্তত তা করে দেখান। বিরোধী দলে রয়েছি বলে, বিরোধী দলনেতা বলে সব সময় ঢপের চপ দেবেন মুখ্যমন্ত্রীর মত, তেমন কিন্তু শুভেন্দুবাবু নন। তার প্রত্যেকটি রাজনৈতিক আভাস যেমন ইতিমধ্যেই সত্যি হয়েছে, ঠিক তেমনই তিনি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবেন বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি পারেন। এখন বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সেই শুভেন্দু আতঙ্কে জেরবার এই রাজ্যের গোটা শাসক দল। তারা ভয় পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী কথা নিয়ে। কারণ শুভেন্দুবাবু প্রত্যেকটা সময় বলছেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করে তিনি শান্ত হবেন। তার কাছে কিন্তু একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এই রাজ্যের সরকার থেকে তৃণমূলকে সরানো এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করা। হয়ত তৃণমূল এই কথাকে হেসে উড়িয়ে দিতেই পারে কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার একের পর এক পদক্ষেপ যে তাদের কাছে প্রবল আতঙ্কের কারণ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চোখের সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেছেন, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ আবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এক ভয়ংকর হুঙ্কার ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আবার একটি নতুন অভিযোগ নিয়ে, যেটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রায়শই লেগেই থাকে শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করার জন্য। সেই রকমই একটা অভিযোগ নিয়ে তারা হেয়ার স্ট্রিট থানায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যাই হোক, এসবকে অন্তত বিরোধী দলনেতা পাত্তা দেন না। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ ছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই করতে পারেনি তৃনমূল কংগ্রেস। বারবার আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে এসে এই সরকারের গালে ঠাস ঠাস করে থাপ্পর দিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তাকে অন্যায় ভাবে আটকে দেওয়া যাবে না। তবে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তৃণমূলের এই অভিযোগ দায়েরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করতেই তিনি আবার একটি হুঁশিয়ার দিলেন। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন তার চ্যালেঞ্জের কথা। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আমরা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করব এবং ওনাকে রাজনৈতিক ভাবে বিশ্রাম নিতে পাঠাব।

বিজেপির দাবি, কোনো কিছু করেই বিরোধী দলকে আটকাতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যতই চেষ্টা করুন, তার পুলিশ প্রশাসনকে আর কেউ ভয় পায় না। মানুষ বুঝে গিয়েছে, এই সরকারকে আর রাখা যাবে না। তাই বিরোধী দল এবং বিরোধী দলনেতার প্রতি সাধারন মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন, তাদের সমর্থন দিচ্ছেন। আগামী দিনে ভোট বাক্সে তারা চরম জবাব দেবেন এই ফ্যাসিস্ট তৃণমূলকে। তাই নিজেদের পতন দেখার জন্য অপেক্ষা করুন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি তার লক্ষ্য স্থির রেখেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব দ্রুত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন যে, আর তার পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়। সবকিছু তার হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই আবার নিজের দলদাস পুলিশকে দিয়ে শেষ পর্যায়ে একটা বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর চেষ্টা। কিন্তু তিনি চেষ্টা নিতেই পারেন। তবে সেই চেষ্টায় সাফল্য আসবে না। কারণ মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েছেন। আর সেই জনতার সমর্থন পেয়েই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অঙ্গীকার করেছেন যে, ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে। যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মানুষের সর্বনাশ করেছে, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিক বিশ্রামে পাঠাতে হবে। তাই শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নিজের চ্যালেঞ্জে অনড় থেকে আরও একবার এই শাসকের বিদায় ঘন্টা যে তিনি বাজাবেন, সেই আভাস দিয়ে দিলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!