এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুই প্রকৃত নেতা! সার্টিফিকেট দিলেন স্বয়ং মমতা? উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

শুভেন্দুই প্রকৃত নেতা! সার্টিফিকেট দিলেন স্বয়ং মমতা? উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো মুশকিল। পরপর দুইবার সরকার তিনি খুব ভালোমতই চালাতে পেরেছেন। কিন্তু তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যে বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শুভেন্দুবাবু, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, এই সরকারের হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। যতই সংখ্যার জোর থাকুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে প্রতিদিন বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই সব দিক থেকেই সেই বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর চেষ্টা। কেস দিয়ে, আদালতে গিয়েও যখন লাভের লাভ হচ্ছে না, তখন বিধানসভাতে তিনি যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তার জন্য মিডিয়া সেন্টারেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত নিম্নরুচির কাজ করে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই মানুষের কাছে আরও খাটো হয়ে যাচ্ছেন। এটা তিনি কেন বুঝতে পারছেন না? তিনি যে এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে শুভেন্দু অধিকারীকে মানুষের নেতা করে তুলেছেন, সেটা কি বোঝার মত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হয়নি?

তবে রাজ্যের শাসক দলের এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা এবং তাদের নেত্রী যেভাবে বিরোধী দলনেতাকে ভয় পাচ্ছেন, তাতে কিন্তু বেজায় খুশি এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি এবার এমন একটি মন্তব্য করলেন, যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শুভেন্দু অধিকারীকে এতই আটকাতে চাইছেন তখন, বোঝা যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে মানুষের কথা বলার মত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যদি কেউ থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি যে সঠিক কাজ করছি, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সার্টিফিকেট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর সেই কারণেই বিধানসভায় আজকে মিডিয়া সেন্টারের ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই পরিষ্কার যে, সঠিক জায়গায় পিনটা ফুটছে। আর সেই কারণেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক থাকতে পারছেন না এবং আমি এবং আমার দল সঠিক পথেই কাজ করছি। অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি যে, তিনি নন্দীগ্রামের মত জায়গায় হেরে যাবেন। তাও আবার তার প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যে এভাবে তাকে হারতে হবে, এটা তিনি এখনও পর্যন্ত মেনে নিতে পারছেন না। তাই সেই শুভেন্দু অধিকারী যখন অন্যান্য বিরোধী দলনেতার মত সেটিং না করে চোখে চোখ রেখে প্রতি পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, লড়াই কাকে বলে, তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রনা বাড়ছে। ফলে তিনি শেষ পর্যন্ত তার মুখ বন্ধ করার জন্য সংবাদমাধ্যমের ঘরেও তালা লাগিয়ে দিয়ে একটা বিষয় বোঝাতে চাইলেন যে, তিনি কোনো মতেই সহ্য করতে পারছেন না শুভেন্দু অধিকারীকে। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী দলনেতাকে দেখে এই ধরনের অসহ্য আচরণ প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, মানুষের কথা তুলে ধরছে বিরোধী দল। সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপির দাবি, শাসক বিরোধী লড়াই এখন জমে উঠেছে। কণ্ঠরোধ করে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে না, এটা বুঝতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি এখন সব ক্ষমতা ভোগ করেও উন্মাদ হয়ে যাচ্ছেন। নিজের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন যে, তিনি সর্বশক্তিশালী। কিন্তু এসব করে তিনি মানুষের কাছে আরও নিচে নেমে যাচ্ছেন। মানুষ বুঝে যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাই সব দিক থেকেই তাকে বেড়াজালে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এসব যত করা হবে, ততই লাভবান হবে বিরোধী দল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারানোর ভয় না পেতেন, তাহলে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বই দিতেন না। কিন্তু তিনি প্রত্যেকদিন ভাবছেন, ভাবার চেষ্টা করছেন যে, কি করে শুভেন্দু অধিকারী তাকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন! কি করে তিনি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন! কি করে সব চুরি ধরা পড়ে যাচ্ছে! তাই এখন সেইসব আটকানোর জন্য শুভেন্দুবাবু যাতে বিধানসভার ভেতরে প্রেস, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে না পারেন, তার জন্য সেই মিডিয়া সেন্টারেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হলো।

কিন্তু এসব করে কি রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন না যে, শাসকের এই সমস্ত নিয়ম পছন্দ করে না রাজ্যের মানুষ! রাজ্যের মানুষের কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিরোধীদের আটকানোর জন্য এই দমন পীড়নের রাস্তায় হাঁটছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! হয়ত তিনি এতই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে, এই সব কিছু তার মাথায় নেই। তাই একের পর এক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাজকেই সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!