এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল >  চা শ্রমিকদের জন্য বড় উপহার, মমতার ঘুম উড়িয়ে ঘোষণা শুভেন্দুর!

 চা শ্রমিকদের জন্য বড় উপহার, মমতার ঘুম উড়িয়ে ঘোষণা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত মিথ্যা কথা বলেন এবং এত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, সেটা আজকে রাজ্যের মানুষ ধরে ফেলেছে। রাজ্য বাজেট ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু সেখানে চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া গঠনমূলক কোনো উন্নয়নের পথে হাটেনি এই রাজ্যের সরকার। শুধুমাত্র কি করে ভোট পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছে। মুখেই এরা বলে, এরা নাকি চা শ্রমিকদের ভালবাসেন। কিন্তু বাস্তবে তার যে উল্টো পথে কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সরকার, তার হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই বিরোধীদের কাজ গঠনগত বিরোধিতা করা। সেক্ষেত্রে চা শ্রমিকদের জন্য এই সরকার তেমন কোনো ঘোষণা না করলেও, তাদের পাশে দাঁড়ালেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাদের জন্য এই বিধানসভায় সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি একটি বড় ঘোষণা করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতাকে। ক্ষমতায় না থেকেও এত বড় প্রতিশ্রুতি চা শ্রমিকদের আগামী দিনে কাকে তারা সমর্থন করবে, তা নিয়ে ভাবার মত বিষয়ের পর্যায়ে চলে আসবে বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন বললেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় বিরোধীদের পক্ষ থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছে চা শ্রমিকদের বিষয় নিয়ে। পরবর্তীতে গোটা বিষয়ে বঞ্চিত চা শ্রমিকদের হয়ে আওয়াজ তুলতে গিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একটি বড় দাবি করে বসেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যেদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেই দিন থেকে এক মাসের মধ্যে চা শ্রমিকদের মালিকানা দিয়ে দেওয়া হবে। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে, ঢপের চপ দেওয়া ছাড়া তো রাজনৈতিক নেতাদের কোনো কাজ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার একটি প্রতিশ্রুতিও তো রাজ্যের মানুষ বাস্তবায়িত হতে দেখেনি। বরঞ্চ এই রাজ্যের আরও সর্বনাশ হয়েছে। আর এখানেই একটি অংশ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছে যে, এই রাজ্য সরকার যে সর্বনাশ করার, তা করে দিয়েছে। তারা যদি আর একদিনও ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সেই সর্বনাশের পরিমান আরও বাড়তে শুরু করবে। তাই পালাবদল ঘটাতেই হবে। তা না হলে তৃণমূলের আমলে শেষ হয়ে যাবে বাংলা। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময় বলবে। কিন্তু বিকল্প সরকার গঠন না করলে বাংলার যে সর্বনাশ হবে, তার জন্য শুধু চা শ্রমিক নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, এই রাজ্য সরকার শুধু বড় বড় কথা বলতে জানে। কিন্তু কাজের কাজ করে না। সেটা আবার রাজ্য বাজেটে প্রমাণ হয়েছে। শুধুমাত্র ভোট নেওয়ার জন্য কিছু ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের উন্নয়ন, সর্বস্তরের বঙ্গবাসীর উন্নয়ন এরা করবে না। এটা চা শ্রমিকদের বঞ্চনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ক্ষমতার বদল হলে এই রাজ্যে চা শ্রমিকরা নিজেদের অর্জিত অধিকার ফিরে পাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকির দিন শেষ। এতদিন বিধানসভায় শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। কিন্তু 2021 এর পর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন যে, তার চালাকি রাজনীতি, ভাঁওতাবাজির রাজনীতি ধরার জন্য বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন। তাই একটু সাবধানেই পা ফেলতে হচ্ছে এই রাজ্য সরকারকে। কিন্তু যতই তারা চালাকি করুন না কেন, সামান্য বঞ্চনা যদি রাজ্যবাসীর হয়, তাহলে প্রতিবাদের সুরকে চওড়া করতে বাধ্য হবে বিজেপি। তাই চা শ্রমিকদের বঞ্চনার বিষয়টি সামনে আসতেই বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন, যদি পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে ক্ষমতায় খুব দ্রুত বসাতে হবে বিজেপিকে। আর তাহলেই রাজ্যে সুশাসন কাকে বলে, রাজ্যের সাধারণ মানুষকে কি করে ভালো রাখতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবে ভারতীয় জনতা পার্টি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!