এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাংলা শুধু বিজেপি আর তৃণমূলের, অস্তিত্ব সংকটে বাকিরা! শুরু চর্চা!

বাংলা শুধু বিজেপি আর তৃণমূলের, অস্তিত্ব সংকটে বাকিরা! শুরু চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  1977 সালেই শেষ কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করেন সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রী হন জ্যোতি বসু। কিন্তু রাজ্যজুড়ে লাল দুর্গের ক্ষমতা কায়েম থাকলেও, 77-97 টানা এই সময় রাজ্যে প্রভাবশালী বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস বেশ জোরের মাথাতেই নিজেদের ক্ষমতা কায়েম রেখেছিল। রাইটার্সের অলিন্দে না ঢুকতে পারলেও, রাজ্যের মানুষের অভাব, অভিযোগ, আন্দোলন, নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বীতা, সবকিছুতেই বিরোধী বলতে সেই একা কংগ্রেস। ছন্দপতন হয় 1998 সালে। যে বছর পয়লা জানুয়ারি কংগ্রেসের ঘর ভেঙে নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম দেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু কংগ্রেস ভেঙে দুই টুকরো হলেও বেশ কিছু কংগ্রেসী পরিবার নিজেদের ক্যারিশমায় একদিকে যেমন নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রেখেছিলেন, অন্যদিকে তেমনই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ভারতবর্ষের সর্ব পুরাতন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অস্তিত্বকে। কিন্তু 1998 থেকে 2021, গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তাই বাংলায় কংগ্রেস বলতে যে পরিবারগুলোকে বোঝা যেত, তার অধিকাংশ পরিবারেই বর্তমানে চুপিসারে ঢুকে পড়েছে এককালে সেই কংগ্রেসেরই অংশ বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একদা কংগ্রেসের রেলমন্ত্রী বরকত সাহেব হিসেবে পরিচিত এবি গনিখান চৌধুরীর পরিবারের ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয় রাজ্যের শাসক দল। বেরিয়ে আসেন তদানীন্তন সাংসদ তথা গনি পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যা মৌসম বেনজির নূর। সেই বছর লোকসভা ভোটে জিততে না পারলেও, বিশ্লেষকেরা কিন্তু মনে করছিলেন, মালদহে কংগ্রেসের ভাঙ্গন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেই ধারণাকেই সত্যি করে দেখা গেল, 2021 এর বিধানসভা ভোটের ফলাফলে মালদহ জেলাও তৃণমূল এবং বিজেপি, এই দুই মেরুতে ভাগ হয়ে গিয়েছে। অস্তিত্ব নেই বরকত সাহেব স্বাদের কংগ্রেস পার্টির। একইভাবে ছোট, মেজো, বড় নানা কংগ্রেসী পরিবারে হানা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যারা ছিল, কংগ্রেসের এককথায় ক্রাইসিস ম্যানেজার। আর আজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ষোলকলা প্রায় পূর্ণ হল। দুঁদে কংগ্রেসী নেতা, ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ভারতবর্ষের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। অনেকেই বলছেন, সমাপ্তি ঘটল বাংলার ট্র্যাডিশনাল কংগ্রেসী অধ্যায়ের। কারণ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এবি গনিখান চৌধুরী, প্রণব মুখোপাধ্যায়-যারা এককথায় ছিলেন কংগ্রেসের কিংবদন্তী নেতা। যাদের মধ্যে অনেক আগেই সুব্রতবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন।

লোকসভা ভোটের সময় গনি পরিবারে ভাঙ্গন ধরেছে। আর আজ মুখার্জি বাড়ির তৃণমূল অভিষেক সম্পন্ন হল। বাকি থেকে গেল একা দাশমুন্সি পরিবার। অনেকেই বলছেন, আগামীতে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই হবে আসল কংগ্রেস। যার প্রায় 99 শতাংশ পটরেখা প্রস্তুত। এখন শুধু পতাকায় আর সাইনবোর্ডে দেখা যেতে পারে হাত শিবিরকে, এমনটাই বলছেন অনেক অভিজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, 2011 সালে যেমন বুদ্ধবাবু বলেছিলেন, “জোড়া কংগ্রেসকে হারাতে না পারলে আর কি রাজনীতি করলাম!” বুদ্ধবাবুর সেই জোড়া কংগ্রেস আজ একলা কংগ্রেস হওয়ার পথে। বহু আগেই অধীরবাবু বলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ক্ষতি বামফ্রন্টও আমাদের করেনি।” খাতায়-কলমে হিসাব মেলালেও অধীরবাবুর উক্তিই স্পষ্ট হবে বলেই দাবি করছেন একাংশ। তাই এখন বাংলার রাজনৈতিক পটচিত্রে তৃণমূল বনাম বিজেপি যে ঘটমান-বর্তমান, সেই বিষয়ে দ্বিমত নেই প্রায় কারোর মধ্যেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!