এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পৃথিবীর শেষ প্রান্ত ছুঁয়ে ফেললো করোনা ভাইরাস!

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত ছুঁয়ে ফেললো করোনা ভাইরাস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অ্যান্টার্কটিকার গবেষণা এবং সামরিক স্টেশনগুলি বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে এই অঞ্চলটিতে ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না পড়ে তাই, পর্যটন বাতিল করা থেকে শুরু করে, কার্যক্রম এবং সুযোগসুবিধাগুলি নিয়ন্ত্রণ করার চিলির সেনাবাহিনী অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছে।

জানা গেছে, এই হিমশীতল মহাদেশ জুড়ে ৩৮টি স্টেশনে প্রায় ১,০০০ লোক ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক জরিপের গবেষকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলত শীতের মধ্যেই করোনা ভাইরাস যাতে দোসর হয়ে না আসে, তাই সেই প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে যে, এত সাবধানতা অবলম্বন করার সত্ত্বেও অ্যান্টার্কটিকায় হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস।

ফলত বিশ্বের শেষ প্রান্তেও আগমন ঘটেছে করোনার। তবে এই ঘটনার কারণ স্বরূপ বসন্ত এবং গ্রীষ্মের গোড়ার দিকে এই অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানের মানুষের ভ্রমণে উৎসাহের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেখানে এই মুহূর্তে, চিলির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। তখন তাঁদের সেনাবাহিনীর দুই সৈন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে জানা গেছে, অ্যান্টার্কটিকার নিকটতম জনবহুল অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম দ্য ম্যাগালেনেস অঞ্চলটি চিলির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল। এখানে অনেক নৌকা ও বিমানের আগমনের করণকেই দেখানো হয়েছে। সেখানে, চিলির নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে যে, ২৭ শে নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে একটি জাহাজের যাত্রীবাহী ২০৮ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হন।

অন্যদিকে, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিলির রিসার্চ বেসে ৩৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ওই ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন চিলির সেনা এবং ১০ জন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী বলেও জানান হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গেছে, জেনারেল বার্নার্ডো ও’হিগিন্স রিকেলমে রিসার্চ বেস-এ এই সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

এছাড়া, আক্রান্তদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করে চিলের পুন্টা আরেনায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রত্যেককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, সংক্রমণ ঠেকাতে আন্টার্কটিকার সমস্ত গবেষণার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, চিলির সেনাবাহিনী তরফে জানান হয়েছে যে, পাতাগোনিয়ায় মাগ্যালেনেসে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দ্বারা আক্রান্তদের সরিয়ে নিয়ে যেতে কোনো অসুবিধে হয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!