এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলেজের কর্মী নিয়োগে অধ্যক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে

কলেজের কর্মী নিয়োগে অধ্যক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে

কলেজের গোলমাল ফের একবার জায়গা করে নিল সংবাদের শিরোনাম। তবে অন্য কিছু নয় এবারের গন্ডগোলের কারণ কলেজের অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে। ঘটনাস্থল পানিহাটি কলেজ।  জানা গেছে, বেআইনিভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হতে থাকে কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে। অভিযোগের তীর তৃণমূল ছাত্র সংসদের দিকে। তবে চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূল তরফের দাবী মেনে নিতে নারাজ ছিলেন মুক্তিদেবী। তাই কলেজে বেশ কিছু অচলাবস্থা ছিল।

যদিও এই ঘটনার সূত্রপাত বছরখানেক আগে,তখন পরিচালন সমিতির এক বৈঠকে এক অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগের দাবী নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। অধ্যক্ষকে বলা হয়, ওই ব্যক্তি কলেজের বাইরে অপেক্ষা করছেন তাকে যেন অবিলম্বে নিয়োগ করা হয়। অধ্যক্ষ না মানলে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ । সম্প্রতি কলেজের ৯ টি স্থায়ী পদের নিয়োগের জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন পাওয়া গেলে বিক্ষোভ জানাতে থাকে টিএমসির ছাত্র সংসদ। কলেজের পরিস্থিতি অধ্যক্ষ জানায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি নিয়ম মেনে কলেজে কর্মী নিয়োগ করার কথা স্পষ্টই জানিয়ে দেন। ওরকম ভাবে বেআইনিভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যাবে না বলেই কড়া নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে টিএমসি তাঁদের দাবীতে অনড় থাকে। কিন্তু অধ্যক্ষের উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করার অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁরা। কলেজের টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি ভূষণ মালাকার তো সাফ কথায় জানিয়েই দিলেন যে নিয়োগ নিয়ে কী গোলমাল হচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে অভিযোগ করার ভঙ্গিতে বলেন যে কলেজের নাকি কোনো সঠিক পরিকাঠামোই নেই। দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে বলেও তিনি জানান। এর এজন্যেই নাকি তাঁরা জোরদার আন্দোলনেও পথে নেমেছেন। ওদিকে অধ্যক্ষ আবার বলেছেন কলেজে পড়ুয়া বাড়তে নাকি কলেজে অনার্সের চারটি বিষয় চালু করা হয়েছে সম্প্রতি। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

উল্লেখ্য, তৃণমূল ছাত্র সংসদের এই আন্দোলনের পেছনে নাকি ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তবে বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন যে, কলেজ তৈরিতে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তবুও তিনি কখনো কলেজের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেননি তবে ক্রমাগত কলেজের মান নাকি খারাপ হচ্ছে তাই তাকে নাক গলাতেই হচ্ছে। অন্যদিকে অধ্যক্ষের দাবী,কলেজে নিয়োগের ব্যাপারে একটা বাড়তি চাপ রয়েছে। অশিক্ষক কর্মীরা এ নিয়ে বেশ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে আছেন। আর এতেই ক্ষতি হচ্ছে কলেজের। যাইহোক,পানিহাটি কলেজ চত্বর সরগরম হয়ে আছে পরিচালন কমিটির সঙ্গে অধ্যক্ষের মতবিরোধের কারণে। তার ফলে বেশ সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে কলেজ পড়ুয়াদের এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!