কাঠপাচার ও চোরাশিকার আটকাতে এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি! উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গের একাধিক বিস্তীর্ণ বনভূমিতে বারবার করে কাঠ পাচার ও চোরা শিকারের অভিযোগ উঠেছে। বিগত কয়েক বছরে একাধিক গন্ডার মেরেছে চোরাশিকারিরা। তাই এবার উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল গুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত বন দফতরের। এ প্রসঙ্গে প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব জানিয়েছেন, এবার থেকে ২৪ ঘন্টা যাবৎ ওয়্যারলেস কন্ট্রোল ও দ্রুত অভিযান কার্যে নিয়োজিত হতে পারবে এমন একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বনে কোন অবৈধ কারবারের সন্ধান পাওয়া মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়বে এই বাহিনী। ইতিপূর্বে বনের নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত করা রাজ্যসশস্ত্র পুলিশের ব্যাটেলিয়ানকেও এই বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে চটজলদি অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি গরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সার জঙ্গলে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ এই তিনটি জঙ্গলে অসংখ্য মূল্যবান গাছ ও সেইসঙ্গে হাতি, গন্ডার, চিতা বাঘের মতো বন্যপ্রাণী রয়েছে। গত ২০১৮ ও ২০১৯ গরুমারা থেকে বেশ কিছু গন্ডার চোরা শিকারীদের কবলে পড়েছিল। এই জঙ্গলে হাতিদের নিরাপত্তার জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব জানালেন, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যধরনের আরও আটটি হাতি সহ মোট ৬৫ টি হাতিকে হাতি জঙ্গলের নিরাপত্তার কাজে লাগানো হবে। এর সঙ্গে ৩টি বেলজিয়ান ম্যালিনোয়া সহ ৬টি স্নিফার ডগ রাখা হবে। তোর্সা, সিসামারি, হলং নদী তীরে ২৪ ঘন্টা ধরে প্রহরী রাখা হবে ১৯ টি নজর মিনারে, সশস্ত্র পুলিশ ও বনকর্মীদের ১০ টি দল সমস্ত সীমানাবর্তী এলাকায় পাহারা দেবে। বক্সায় ১০টি, তোর্ষা তীরে ৫ টি, গরুমারায় ৩টি নতুন বন দফতরের নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হবে। এ প্রসঙ্গে বিনোদকুমার যাদবের বক্তব্য, ” গন্ডার শিকারে অভিযুক্তেরা ধরা পড়েছে এবং জেলে সাজা খাটছে। কিন্তু আমরা চাই বন্যপ্রাণ সুরক্ষা থাকুক। তাই অপরাধ ঠেকানোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, সমস্ত গ্রামবাসী বনদপ্তরকে চোরাশিকারী বা অপরাধীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর দেবেন তাদের নাম ও পরিচয় পত্র গোপন করে, তাদেরকে মোটা অংকের পুরস্কার দেয়া হবে। সুকনায় একটি উচ্চপর্যায়ের বনদপ্তরের বৈঠকে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে চর বা সোর্স নেটওয়ার্ক জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, আসাম নেপাল, ভুটান সংলগ্ন বনাঞ্চলের কাঠ পাচার ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক আনাগোনা। এরমধ্যেই একটি অভিযান চালিয়ে অসম থেকে আলিপুরদুয়ারে যাবার পথে প্রচুর চোরাই কাঠ উধ্যার করেছে বনদপ্তর। বনদপ্তরের আধিকারিকদের প্রতিদিন সকালে তার পূর্ব দিনের রিপোর্ট কলকাতা সদর দপ্তরের কাছে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হলো। আপনার মতামত জানান -