মিলছে না বকেয়া মজুরি, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে চা বাগানের শ্রমিকেরা উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 25, 2018 উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের খ্যাতি জগৎজোড়া। কিন্তু সেখানেও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভে ফের চা শিল্পে ঘনিয়ে আসল দুর্যোগের ঘনঘটা। জানা গেছে, নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগানের 1230 জন শ্রমিক রয়েছে। আর এই শ্রমিক সহ অন্যান্য কর্মচারীদের চারটি পাক্ষিক মজুরি এখনও বকেয়া রয়েছে। আর এতেই চা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল অসন্তোষ। তাই মঙ্গলবার 31 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সকাল সাতটা থেকে নটা অবধি এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন শ্রমিকরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। সূত্রের খবর, এদিন তাঁদের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও মালিক কতৃপক্ষ অনুপস্থিত থাকায় বাধ্য হয়ে এই অবরোধের রাস্তা বেছে নেয় শ্রমিকেরা। শেষপর্যন্ত নাগরৃকাটার এই বিক্ষোভ থামাতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় সেখানকার ওসি সৈকত ভদ্র ও বিডিও সাঙ্গে পেমা ভুটিয়াকে। আর এরপরই উঠে যায় অবরোধ। তবে এদিন শুধু নাগরাকাটাতেই নয়, মেটেলি ব্লকেও শ্রমিক নিগ্রহ বন্ধের দাবিতে আইবিল চা বাগানের সমস্ত কাজ দুপুর পর্যন্ত বন্ধে রাখেন সেখানকার শ্রমিকেরা। নাগরাকাটার গ্রাসমোড় চা বাগানের শ্রমিকদের এহেন বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বাগানের মালিক কুশল তিওয়ারিকে বহুবার ফোন করা হলেও তিনি কোনো ফোনই রিসিভ কলেননি। মালিকপক্ষের এহেন বঞ্চনা প্রসঙ্গে বাগানের তৃনমূল নেতা রাজু ঘোলে বলেন, “মঙ্গলবার বকেয়া মেটানোর কথা থাকলেও তা না মেটানোয় বাধ্য হয়ে আমরা এই রাস্তা অবরোধ করি।” এদিকে এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে কিছুটা হলেও মিলেছে আশ্বাসবানী। এদিন মালের মহকুমা শাসক সৈয়াদ এন বলেন, “মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।” আর বাগানের পরিস্থিতি যে ভালো নয় তা উপলব্ধি করে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এ নিয়ে খুব শীঘ্রই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ডুয়ার্স শাখার সম্পাদক রাম অবতার শর্মা। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনা মেটানোর দাবিতে এখন শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্বে নাগরাকাটার গ্রাসমোড় চা বাগান। আপনার মতামত জানান -