প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচনে জয়লাভের পর 24 শে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য দিল্লির মসনদ দখল করা। কার্যত এই লড়াইয়ে তাঁকে সেনাপতি ভূমিকায় সাহায্য করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভোট কৌঁশলী হিসেবে কাজ করেছেন এবং তাঁর পরিকল্পনায় বাংলায় তৃণমূল যে ব্যাপক জয় পেয়েছে, সে কথা কোনমতেই অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে একুশের বিধানসভার নির্বাচন থেকেই মোদী ভার্সেস মমতা লড়াই প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছে এবং রাজ্য থেকে সেই লড়াই এবার দিল্লী অভিমুখে এবং এক্ষেত্রেও সেই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গেলে কিন্তু সমস্ত মোদি বিরোধী শক্তিকে একজোট হতে হবে এবং সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই তিনি মোদি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। চলছে মোদী বিরোধী শিবিরের সাথে বৈঠক। আর এবার জানা যাচ্ছে, লোকসভার বাদল অধিবেশনের সময় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান করবেন দিল্লিতে। প্রসঙ্গত সংসদ অধিবেশনের কালে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকেই পাওয়া যাবে দিল্লির বুকে। আর সে সুযোগেই তৃণমূল নেত্রী মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সূত্রপাত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে, অর্থাৎ মোদি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন তিনি।

অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় বসবেন বলে জোর গুঞ্জন জাতীয় রাজনীতিতে। তবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রীর এই উদ্যোগকে মোটেই পাত্তা দিতে রাজি নয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের পাল্টা কটাক্ষ নন্দীগ্রাম যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতছাড়া হয়ে যায়, সেখানে দিল্লি অনেক দূর। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মনোভাবকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। কার্যত মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রে কংগ্রেসের সাহায্য প্রার্থী, তখন রাজ্যে কংগ্রেস অন্যতম বিরোধী শক্তি তৃণমূলের।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শুন্য হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রে কংগ্রেস কোন অবস্থান নেবে, তা নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। তবে এই মুহূর্তে নজর 24 এর আগে হয়ে যাওয়া বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। কারণ এখানেই পরিষ্কার হয়ে যাবে এই মুহূর্তে বিজেপির অবস্থান। সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল গেরুয়া শিবির নিজেও। আর তাই উত্তর প্রদেশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই তাঁরা শুরু করে দিয়েছে হোমওয়ার্ক। তাই সবদিক বিচার করে তৃণমূল 2024 এর পরিপ্রেক্ষিতে কোন রণনীতি প্রস্তুত করে, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের। পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের কোন মাষ্টারস্ট্রোক আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে সেদিকেও নজর সবার।