এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে যোগ না দিয়ে নতুন দল খুলবেন তৃণমূলের এক দাপুটে নেতা? নতুন সমীকরণ বঙ্গ রাজনীতিতে?

বিজেপিতে যোগ না দিয়ে নতুন দল খুলবেন তৃণমূলের এক দাপুটে নেতা? নতুন সমীকরণ বঙ্গ রাজনীতিতে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে করোনা আবহে সবকিছু কেমন অস্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু, এর মধ্যেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আসতে চলেছে একটি বিরাট বড় দুঃসংবাদ। আর এর পিছনে রয়েছে রাজ্যের এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার একটি বিশেষ বক্তব্য। যেখানে তিনি নাকি জানিয়েছেন, তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতা তথা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তাঁর অনুগামী সহ তৃণমূল ত্যাগ করে নতুন একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করতে চলেছেন।

প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের ১০০ জনেরও বেশি বিধায়কের দিকে নজর ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মুকুল রায়ের। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকাল থেকেই এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহও। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ভেঙে নতুন দল গঠনের জল্পনা উস্কে দিয়ে, ঘাসফুল শিবিরকে একটা বিরাট রাজনৈতিক চাপ দেওয়া শুরু করল বিজেপি বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল শুরু করেছে ‘ঘর ওয়াপসি’। যাতে সাড়া দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বহু নেতা-নেত্রীই আবারো তৃণমূলে ফিরে গেছেন। আর বিজেপির চাপ বাড়াতে সেই ঘর ওয়াপসির তালিকায় বহুদিন থেকেই মুকুল রায়ের নাম নিয়েও জল্পনা ছড়াচ্ছে! রাজ্য-রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বারেবারেই উঠে আসছে তিনি নাকি বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলের সংসারে ফিরে যেতে মরিয়া!

যে খবর স্বয়ং মুকুল রায় সাংবাদিকক বৈঠক করে উড়িয়ে দিলেও, জল্পনায় রাশ টানতে পারেননি। আর এরই মাঝে, সম্প্রতি তৃণমূলের এক দাপুটে নেতার সঙ্গে তৃণমূল দলের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। তৃণমূলের এই নেতা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন নিজের দলের কাছে বলে বিভিন্ন সময়ে তাঁর অনুগামীরা দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি তৃণমূল থেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল তৈরি করে বিজেপির সঙ্গে নাকি আগামীদিনে পথ চলতে পারেন – এমনটাই দাবি করেছেন এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা।

তাঁর আরও দাবি, এই নতুন সমীকরণে বিজেপির বিরাট শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে – নির্বাচনী ময়দানে। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনি যদি সত্যিই তৃণমূল থেকে অনুগামী-সহ বেরিয়ে এসে কোন নতুন দলের গোড়াপত্তন করেন – তবে, বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণটাই অনেকটা বদলে যেতে পারে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে তাঁর অনুগামীদের একটা বিরাট অংশ এই নতুন দলে এসে যোগদান করতে পারেন। এর ফলে বিধানসভা ভোটের আগে অনেকটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে শাসকদল, আর বদলাতে পারে বাংলার রাজনৈতিক চালচিত্র বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত বিজেপির এক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম শীর্ষনেতাকে সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা যদি নতুন দল গঠন করেন, তবে তাতে বিজেপির লাভ হবে না ক্ষতি? এর উত্তরে সেই সংশ্লিষ্ট নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তৃণমূলের ওই হেভিওয়েট নেতা নতুন দল গঠন করলে, তাতে বিজেপির ক্ষতির আশঙ্কা আছে। কারণ সেক্ষেত্রে বিজেপির বিক্ষুব্ধ কিছু অংশ এই নতুন দলে যোগ দিতে পারেন। তাই, বিজেপির সেই নেতা চান, বিজেপিতে তাঁর অনুগামী সহ এই তৃণমূলী হেভিওয়েটকে স্বাগত জানাতে।

অন্যদিকে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অনেকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন এরকম একটি দল গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিতে তিনি জানিয়ে ছিলেন যে, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে কোন নতুন দল তৈরি হয়, তবে সেই নবসৃষ্ট দলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট একত্র হয়ে রাজ্যে একটি মহাজোট গঠনের জন্য তিনি ইচ্ছুক। তাই এ বিষয়ে চিঠি লিখে তিনি সভানেত্রীর কাছ থেকে তিনি পূর্বেই অনুরোধ করে রেখেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি সোনিয়া গান্ধীকে আরও জানিয়েছিলেন যে, প্রয়োজনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যদের জন্য একটি পৃথক রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করারও পক্ষপাতী তিনি। কারণ এই রাজনৈতিক মঞ্চে তৃণমূল ছাড়াও অন্যান্য দলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরাও যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু, তৃণমূল-ত্যাগ করে এই ধরনের একটি পৃথক দল হলে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেসের মত একটি সর্ব-ভারতীয় দলকে পাশে দাঁড়াতেই হবে। অর্থাৎ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুল মান্নানের এই চিঠিতেই প্রমাণিত বাংলায় একটি পৃথক রাজনৈতিক দলের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার উপর, অধুনা বিজেপি নেতার বক্তব্য সেই সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করল বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!