এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ক্রমশ জট কাটছে বাম-কংগ্রেস জোটের – সোমেন-সূর্যকান্তর আলোচনায় উঠে এল বড়সড় রফাসূত্র

ক্রমশ জট কাটছে বাম-কংগ্রেস জোটের – সোমেন-সূর্যকান্তর আলোচনায় উঠে এল বড়সড় রফাসূত্র

লোকসভা ভোটে প্রদেশ কংগ্রেস সিপিএম না তৃণমূল কার সঙ্গে জোট বাঁধবে? এ প্রশ্ন নিয়ে বহুদিন ধরেই সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাধার প্রসঙ্গে প্রথম থেকে লাল ঝাণ্ডা দেখিয়ে আসছেন সোমেন মিত্র। তবে সিপিএমের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা নিয়ে প্রথমে একটু আপত্তি জানালেও পরে সুর নরম করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

তারপর সম্প্রতি বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিল জোটের ছবি। রাজ্যে জোট নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে টেলিফোনে একপ্রস্থ আলেচনা হয়,এমনটাই খবর আলিমুদ্দিন সূত্রের খবরের।

সেই আলোচনা থেকেই জানা গিয়েছে উত্তর মালদহে মৌসমের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হতে পারেন দীপা দাশমুন্সি। রায়গঞ্জে প্রার্থী হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে মহম্মদ সেলিমের। মুর্শিদাবাদ আসনে দাঁড়াচ্ছেন বর্তমান সাংসদ বদরুদ্দোজা মোল্লা। বহরমপুর কেন্দ্র থাকছে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির হাতে। আর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে সাংসদ অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায় দাঁড়াচ্ছেন পুরনো জঙ্গিপুর আসন থেকেই।

কংগ্রেস-সিপিএম জোট নিয়ে যতোবার আলোচনা হয়েছে ততোবারই এই তিনজেলায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত ছিল দুই দলই। তাই প্রাথমিক আলোচনায় জোটপন্থীরা এখন একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে,রাজ্যে কোন কোন আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস এবং সেইসব আসনের বর্তমান পরিস্থিতি কীরকম রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈয়ের অনুরোধে ২৭ তারিখ সেই আলোচনা হবে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গৌরব গগৈ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন এবং প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এই দু’জনই কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতে পারেন বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র লোকসভা ভোট জয়কে লক্ষ্যমাত্রা রেখেই এই তিন জেলার লোকসভা আসন নিয়ে প্রাথমিকভাবে ঐক্যমতে পৌছেছেন কংগ্রেস-সিপিএম। এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য,গত সপ্তাহেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যর সঙ্গে আলোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব। এরপর গতকাল সিপিআইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করে সিপিএম নেতৃত্ব। জোটপন্থীরা আলোচনা করে রফাসূত্র বের করার পর বিরোধীরাও এ জোটের ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে।মুর্শিদাবাদ আসনে আবু হেনাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এবং এটার নেপথ্যে অধীর চৌধুরীর কৌশল রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে,বাম শরিকরা আবার স্পষ্ট করে সিপিএম কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে,জোটে আসতে হলে তাঁদের ১০ টা আসন দিতে হবেই। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস-বামফ্রন্টে জোটে সীলমোহর পড়ে কিনা সেটা নিয়েই কৌতূহল ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!