উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী বউবাজারের পাশে দাঁড়িয়ে করলেন এক বছর পর ঘোষণা – জানুন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য September 4, 2019 রবিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের এক অদ্ভুত বিপর্যয় ঘটে গেল বউ বাজারে। আঠারোটা বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর চোখের সামনে বাড়ি ভেঙে পড়লো। বাসিন্দারা চলে এলো রাস্তায়, হতাহতের খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বউবাজারের ঘটনাস্থলে যান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। নবান্নে এদিন বিপর্যয় মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী একটি বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার, কলকাতার মেয়র, পরিবহন সচিব ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর কর্তাদের সাথে। বিপর্যয় ঠেকাতে বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। বউবাজারের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পরবর্তীকালে এই রকম ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে ওরা নজর রাখতে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে একটি কোর গ্রুপ গঠন করেছেন তিনি। এই কোর গ্রুপে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মেয়র সচিবসহ পরিবহন দপ্তর ও বিপর্যয় মোকাবিলার কর্তাদের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মধ্যে থেকে চারজনকে রাখা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সবাই মিলে বউবাজারের বিপর্যয় মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান দোষারোপ না করে এখন সবার সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত। এখনো পর্যন্ত 52 টি পরিবারকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু মেট্রোরেলের এই কাজে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই আরো পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ‘বাড়ির বদলে বাড়ি’ নীতির ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন সাথে তিনি মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করেছেন যাতে ক্ষতিগ্রস্থদের মেট্রো তাদের নিজস্ব বহুতলে রাখে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী বউবাজার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ‘দোকানের বদলে দোকান’ নীতি গ্রহণ করেছেন। যতদিন না নতুন দোকান হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা ততদিন অন্য জায়গায় ব্যবসা স্থানান্তরিত করতে পারবেন। ভেঙে পড়া বাড়িগুলি থেকে যাতে ক্ষতিগ্রস্থদের কোনরূপ জিনিসপত্রের হাতবদল না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসছে এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পক্ষ থেকে একজন মেট্রোর প্রতিনিধিদের সাথে বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে আসতে পারবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সাথে তিনি মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করেছেন ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মধ্যে একটি বিবাহযোগ্যা মেয়েকে রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচ লাখ টাকা ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে 5 লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বউবাজারের বিপর্যয় খতিয়ে দেখতে এসে জানান ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ থমকে যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠছে না। এটি উন্নয়নমূলক কাজ। বরং তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করবেন এবং মেট্রোর কাজটিও যাতে এগিয়ে চলে সেদিকে নজর রাখবেন। এই ঘটনায় সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -