এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নাম না করেও সাম্প্রদায়িকতার ইস্যুতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে বিঁধলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ

নাম না করেও সাম্প্রদায়িকতার ইস্যুতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে বিঁধলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি নিয়ে এক প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি প্রতীচীর জমির কিছু অংশ বিশ্বভারতীর জমি বলে দাবি উঠেছে। এই বিতর্কে অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর পাশে থাকার বার্তা যেমন দিয়েছেন, তেমনি তাঁকে চিঠিও দিয়েছেন। অন্যদিকে গত রবিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থন জানিয়ে কলকাতায় মিছিল করলেন বুদ্ধিজীবীরা। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লাভ জিহাদ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সরাসরি নাম না করেও সাম্প্রদায়িকতার ইস্যুতে বিঁধলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে।

পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেবার বার্তা দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এই উদ্যেশ্যে রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করলেন তিনি। অমর্ত্য সেন জানালেন যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা লক্ষ্য থাকতে পারে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলা করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এক হওয়া দরকার। না হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে পারবেনা বাঙালি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে দূর করতে তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকেও এগিয়ে আসার আহবান জানালেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, প্রতিটি ধর্মনিরপেক্ষ দলের আলাদা কর্মসূচি থাকতেই পারে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলা করতে সকলকে এক হওয়া দরকার। সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলায় তৃণমূলের চেয়ে কোন অংশে কম নয় বামদলগুলির ভূমিকা। তিনি আরো জানান যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাখাটাই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। নতুবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উত্তরাধিকারী হতে পারবেনা বাঙালি।

অর্থনীতিবিদ এ প্রসঙ্গে আরও জানালেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখরা ঐক্যবদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি গঠনের পক্ষেই তাঁদের মত দিয়েছিলেন। এক সম্প্রদায়কে অপর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হলে, তা কখনোই মেনে নেবে না বাংলা। তিনি জানালেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলার অন্যতম মহাপুরুষ। এটাই হলো বাঙালির সংস্কৃতি। অতীতে সাম্প্রদায়িকতার ফল ভোগ করতে হয়েছে বাংলাকে। তবু বাংলা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেন সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে সরাসরি কোন দলকে অভিযুক্ত না করলেও, তিনি যে প্রকারান্তরে বিজেপিকেই নিশানা করেছেন, তা বুঝতে বাকী নেই কারোরই। অন্যদিকে, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কিছু বলতে চান না। কারণ, তিন ধর্মের মানুষকে বিবাহ করেছেন তিনি, তাই তাঁর কিছু বলার নৈতিক অধিকার থাকতে পারে না। যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের অংশীদার যিনি নন, তাঁর কাছ থেকে নীতিকথা শুনতে চান না তাঁরা। যারা তাঁর নীতি কথা শুনেছে, তাঁরাই ডুবেছে। তবে, তাঁরা ডুবতে চান না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!