নেতাজির জন্মদিনে বড় পদক্ষেপ! বিজেপিকে আটকাতে একজোট বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা! কংগ্রেস তৃণমূল বামফ্রন্ট বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। এবারের লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই হবে বলেই মনে করছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বিজেপিকে বাংলা বিদ্বেষী দল বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপিকে আটকাতেই এবার কি একজোট হতে শুরু করল তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস! জানা গেছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালনে মঙ্গলবার একটি কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা জায়গা পেলেও, জায়গা পাননি বিজেপির কোনো প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপিকে কেন এই মহান মনীষীর জন্ম জয়ন্তী পালনে রাখা হল না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, আসলে গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করতেই তৃণমূল কংগ্রেস এই কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে বিজেপিকে চাপে রাখতে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতাদের কমিটিতে নিয়ে কার্যত বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরি করার বার্তা দিল শাসকদল বলেই দাবি একাংশের। বস্তুত, মঙ্গলবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। জানা গেছে, মহাবোধি সোসাইটি হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মজয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা। তবে কৃষি আইনের প্রতিবাদে অবস্থান থাকার কারণে এই সভায় উপস্থিত হতে পারেননি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালনের যে কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন সিপিএমের বিমান বসু এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের মত নেতারা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কে। আহ্বায়ক হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অসীম দাশগুপ্ত। অন্যদিকে সহ সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীকে। একইভাবে এই নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং কার্যকরী সভাপতি বরুণ মুখোপাধ্যায়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস সমস্ত দলের প্রতিনিধিরা এই কমিটিতে থাকলেও, কেন সেখানে বিজেপির কোনো প্রতিনিধি নেই, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এক প্রকার কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা যে, বিজেপিকে কোণঠাসা করতে এবং বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপি যে কোনোভাবেই জড়িত নয়, তা এই কমিটি গঠনের মধ্য দিয়েই বার্তা দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখার চেষ্টা করল শাসক শিবির। তবে এর পেছনে যে সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, দিনকে দিন রাজ্যে বিজেপি তাদের চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, বাম, কংগ্রেসের মতো শক্তিগুলোকে এক ছাতার তলায় আনতে। আর সেই কারণেই নেতাজির জন্ম জয়ন্তীকে পাখির চোখ করে কমিটি গঠন করে সেখানে বাম-কংগ্রেস সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের জায়গা দিয়ে বিজেপিকে কার্যত বাদ রাখা হল। অর্থাৎ বিজেপিকে চাপে রাখতে এখন থেকেই যে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পথ চলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা তাদের এই নেতাজি জন্মজয়ন্তী কমিটি গঠনে কার্যত পরিষ্কার বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে এতদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করে এসেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। সেদিক থেকে বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৃণমূল বাম ও কংগ্রেস নেতাদের কমিটিতে নিয়ে সকলকে জায়গা দেওয়ায় সেই বাম এবং কংগ্রেস একসাথে কাজ করতে রাজি হয় কিনা, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় রাজনৈতিক মহলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -