বড় খবর! তৃণমূল বিধায়ক খুনে আদালতে আত্মসমর্পন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের! তারপর কি হল জানুন! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই কৃষ্ণগঞ্জ তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর থেকেই শুরু হয়েছে শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব। সত্যজিত বিশ্বাস খুনের মামলায় সিআইডি চার্জশিট জমা দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নতুন বিতর্ক। কারণ, চার্জশিটে এবার নাম রয়েছে এলাকার বিজেপি সাংসদের। এই নিয়ে বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলের প্রতি। তাঁদের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরকে ফ্যাসাদে ফেলার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে বিজেপি সংসদের। আর এবার সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় সোমবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। যদিও তিনি জামিন পেয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। গত সোমবারই সিআইডির পক্ষ থেকে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। সিআইডি চার্জশিট দখলের পর জগন্নাথ সরকারের প্রতি নির্দেশ জারি হয় রানাঘাট মহকুমা আদালতে আঠারই অক্টোবরের মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য। আঠারই অক্টোবরের আগেই সোমবার সাংসদ জগন্নাথ সরকার রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিলেন। তাঁর সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন আদালতে এলাকার একাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক। যদিও করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে এত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আদালতে আসায় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে জগন্নাথ সরকারের দাবি, তিনি মিছিল করে আসেননি। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণেই দলের কর্মী সমর্থকরা এসেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এদিন জগন্নাথ সরকার বলতে থাকেন, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রদীপ কুমার প্রামাণিক জানিয়েছেন, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় আগাম জামিন পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন জগন্নাথ সরকার। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। 50 হাজার টাকার বন্ড দিয়ে এই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে মামলা চলতে থাকবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সরাসরি খুনের ঘটনায় বিজেপি সাংসদের নাম থাকায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির কিছুটা অস্বস্তির মুখে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গেরুয়া শিবিরে প্রভাবশালী নেতাদের ওপর এবার ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার? সত্যজিৎ বিশ্বাস মৃত্যু নিয়ে তর্ক কিন্তু এখনো চলছে। কারণ মামলা এখনো শেষ হয়নি। প্রত্যেক মাসে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে হাজিরা দিতে হবে সিবিআই দপ্তরে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -