বিধানসভায় লিড বাড়াতে পারলেই ৫০ লক্ষ টাকা করে ‘উন্নয়নের’ পুরস্কার ঘোষণা অনুব্রত মন্ডলের! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য September 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যতটা সহজে রাজ্যে সাফল্য লাভ করতে পেরেছিল, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের সাফল্য লাভের পথটি ততটা সহজ নয়। কারণ ইতিমধ্যেই ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাব। সমস্ত জেলাতেই বিজেপি নিজের সংগঠন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ফলে শাসক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বীরভূম জেলায়। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে বীরভূম জেলার বনশঙ্কা অঞ্চলের একটি বুথে ৫৪১ টি ভোটে তৃণমূল বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সমস্ত বুথে শাসকদলকে এগিয়ে রাখার নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জানালেন, যে অঞ্চল আগামী ভোটে সবচেয়ে বেশি ভোটে লিড করবে সেই অঞ্চলকে নির্বাচনের পরে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে সেই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য। প্রসঙ্গত গত বুধবার বীরভূম জেলার সিউড়ি বিধানসভার পুরন্দরপুর অন্চলে তৃণমূল দলের একটি বিশেষ বুথকর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই আয়োজনে এই ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার এর কথা জানালেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ বিষয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ” যে অঞ্চলে বেশি লিড হবে সেখানে ভোটের পর ৫০ লক্ষ টাকা খরচে উন্নয়নের কাজ করা হবে।” প্রসঙ্গত, গত বুধবার পুরন্দরপুর সহ আরও তিনটি অঞ্চলের বুথ কর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ নির্বাচনী বৈঠকে অনুব্রত মন্ডল ছাড়াও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বেশকিছু তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। গত বুধবার দলের এই বিশেষ বৈঠকে দলের বুথস্তরের সমস্ত কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী ক্লাস শুরু করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তৃণমূল দলের কর্মীরা অনুব্রত মণ্ডল কে এলাকার সমস্ত তথ্য জানালেন। শাসক দলের প্রতি কারোর ক্ষোভ আছে কিনা? এই অঞ্চলের মহিলাদের শাসকদলের বিরুদ্ধে কোন নালিশ আছে কিনা? এই সমস্ত কিছু জানতে চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই বৈঠকে শাসক দলের পুরন্দরপুরের জনৈক বুথ সভাপতি একটি রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়ান। ক্ষুদ্ধ হয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে বুথ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের হুঁশিয়ারি দেন। পরে অবশ্য সবকিছু মিটমাট হয়ে যায়। গতকালের সম্মেলনে তৃণমূলের জনৈক বুথ সভাপতি পুরন্দরপুরের অঞ্চলের একটি রাস্তার দুরবস্থার কথা অনুব্রত মণ্ডল কে জানালেন। তিনি জানালেন, বেহাল এই রাস্তায রোগীকে কাঁধে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ রাস্তায় এম্বুলেন্স ঢুকতে পারছে না। তাই তিনি রাস্তাটি মেরামতের অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল জানালেন, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই রাস্তা মেরামতের জন্য ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে বর্ষার কারণে সম্প্রতি এই রাস্তা মেরামতের কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এই রাস্তায় ৫ ডাম্পার ডাস্ট ফেলে রাস্তাটিকে চলাচলের যোগ্য করে তোলা হবে বলে জানালেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে বৈঠকে তৃণমূলের অপর এক বুথ সভাপতি জানালেন যে, এই পুরন্দরপুর গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প এর কোন ব্যবস্থা নেই ।এর ফলে এখানে জলের খুব সমস্যা আছে। তাছাড়া এই গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটিতে অনেক বিদ্যুতের অনেক খুঁটিতেই আলোর ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত কে জানিয়েও তেমন কোনো ফল পান নি। তাঁর কাছে এই সব সমস্যা শুনে সমস্ত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন শাসকদলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলার দুটি আসনেই তৃনমূল জয়ী হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু বেশ কিছু অঞ্চলে শাসকদলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল বিরোধী দল বিজেপি। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল যাতে সজজেই জয়লাভ করতে পারে। সে কারণে এই বিশেষ বৈঠক ও অভিযোগ শোনবার কাজে নেমে পড়লেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এমনটাই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের মতামত। আপনার মতামত জানান -