এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিল্প সম্মেলন শুরু হতেই মুখ পুড়লো মমতার! অস্বস্তিতে রাজ্য, চেপে ধরলো বিরোধীরা!

শিল্প সম্মেলন শুরু হতেই মুখ পুড়লো মমতার! অস্বস্তিতে রাজ্য, চেপে ধরলো বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রত্যেক বছর ঘটা করে কখনও বিদেশ যাত্রা, আবার কখনও বা রাজ্যের মাটিতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুব ভালো কথা। রাজ্যবাসী থেকে শুরু করে বিরোধীরা, সকলেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু তাদের মনে একটা প্রশ্ন বারবার করে মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, এবার তো নতুন নয়। এর আগেও তো মানুষের টাকা খরচ করে এই শিল্প-সম্মেলন হয়েছে। সেখান থেকে কি রেজাল্ট এসেছে, সেটা অন্তত জানিয়ে দিক রাজ্য সরকার। কিন্তু তা জানানোর মতো ক্ষমতা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়নি বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর তার মাঝেই শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি যখন চরমে, ঠিক তখনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রীকে প্রবল চাপের মুখে ফেলে দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি এদিন এমন একটি মন্তব্য করলেন, যা রাজ্যের মানুষের মন ছুঁতে বাধ্য।যারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের চাকরি নিয়ে চিন্তিত, তারাও নওশাদবাবুর এই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার পর্যন্ত সেই সম্মেলন চলবে। দুদিন ব্যাপী এই সম্মেলনে হয়ত সরকার আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যে, তারা বহু নামিদামি শিল্পপতিদের নিয়ে এসেছে এবং সেখানে তারা দিয়ে বলানো হবে যে, তারা আগামী দিনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু এই চিত্র তো রাজ্যে নতুন নয়। এর আগেও তো অনেক নামিদামি মানুষ রাজ্যে এসে বহু বিনিয়োগ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তো তেমন বড় মাপের কোনো ইন্ডাস্ট্রি রাজ্যে হতে দেখা যায়নি। তাই শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি যখন চরমে, তখনই ভিডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী সরকারের কাছে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন যে, এতদিন ধরে যে শিল্প সম্মেলন হয়েছে, সেখান থেকে কত কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে এবং কত ছেলে মেয়ের চাকরি হয়েছে, এটা জানিয়ে দিক রাজ্য সরকার। এখন সরকার বলতেই পারে, তারা জবাবদিহি করতে প্রস্তুত নয়। কিন্তু একজন আইন সভার সদস্য হিসেবে একজন বিধায়ক যখন প্রশ্ন করছেন, তখন সামান্য বিবেকবোধ থাকলে এই জবাবদিহি দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কিন্তু যেখান থেকে কোনো রেজাল্ট আসেনি, সেখানে তারা জবাব দিতে পারবে না, এটাই তো স্বাভাবিক। তাই ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না।

বিরোধীদের দাবি, চুরি করে মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। আর কি করে মানুষের টাকা নিয়ে উৎসবে ব্যস্ত থাকতে হয়, তার চেষ্টা করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বৈব ভাবে রাজ্যকে চুষে নিচ্ছে এই তৃণমূল সরকার। মানুষের চোখের জলের দাম তাদের কাছে নেই। একটা 12 বছর সরকারের বয়স, অথচ তারা আজ পর্যন্ত কোনো বড় মাপের ইন্ডাস্ট্রি রাজ্যে স্থাপন করতে পারল না। উল্টে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে টাটার মত শিল্পগোষ্ঠী। তাই বাণিজ্য সম্মেলনের নামে উৎসব হবে, নিজেকে ফলাও করে প্রচার করা হবে। কিন্তু বাস্তবে রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নওশাদ সিদ্দিকী শুধু নয়, এর আগে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদাররাও এই একই প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে এতদিনে সেই প্রশ্নের উত্তর এই নিষ্কর্মা রাজ্য সরকার দিয়ে দিত। কিন্তু তারাও জানে যে, এতদিন ধরে শিল্প সম্মেলন করে লাভের লাভ কিছু হয়নি। একটা শিল্পপতিও এই রাজ্যে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। হয়ত প্রকাশ্য মঞ্চে তারা অনেক বড় বড় কথা বলে গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা এই রাজ্যের শিল্প স্থাপন করার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। কারণ তারাও জানে যে, এই রাজ্যে কত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে! কি পরিস্থিতি এই রাজ্যটার করে রেখেছেন মাননীয়া! তাই শিল্প সম্মেলন আবার করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যের মানুষের ভরসা এবং বিশ্বাস এই সরকারের ওপর থেকে উঠে গেছে। মানুষের টাকা নয়ছয় আবার করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু মানুষ মুখিয়ে রয়েছে, ভোট বাক্সে তাদের জবাব দেওয়ার জন্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!