এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার সেই বস্তাপচা ডায়লগ! শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক, আওয়াজ তুলছে বিজেপি!

মমতার সেই বস্তাপচা ডায়লগ! শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক, আওয়াজ তুলছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মানুষের করের টাকা খরচ করে কখনও উৎসব, আবার কখনও বা শিল্প আনার কথা বলে মস্ত বড় সম্মেলন করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সমস্ত শিল্প সম্মেলন, অমুক সম্মেলন করে কি লাভ হচ্ছে! সেটা জানানোর মত ক্ষমতা নেই এই রাজ্য প্রশাসনের। কারণ আদতে এখান থেকে কোনো লাভ পাচ্ছে না এই রাজ্য সরকার। তাদের শিল্পনীতি ভুল, তাদের বাণিজ্য নীতি এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যে, শিল্পপতিরা এই রাজ্যে শিল্প করার জন্য সঠিক ভরসা পাচ্ছেন না। তবুও রাজ্য এবং দেশের নামকরা শিল্পপতিদের মঞ্চে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে, তারা কতটা শিল্প বান্ধব। কিন্তু তার এই চালাকি যত সময় যাচ্ছে, ততই ধরা পড়ে যাচ্ছে। এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন যখন চলছে, তখনই বিরোধীদের তরফে উঠল বড় আওয়াজ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরকারকে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন।

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যা বলা উচিত, তেমনটাই বলেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন যে, “এর আগেও তো অনেক বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কত বিনিয়োগ হয়েছে, সেই তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আগে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। তা না হলে অতীতের মত বিরিয়ানি নিয়ে মারামারি ছাড়া আর কিছুই হবে না।” একাংশ বলছেন, সরকারের কাছে রাজ্যের উন্নতির কথা জানতে চাইবেন বিরোধীরা, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু যখন সরকার প্রকৃত তথ্য দেবে না, তখনই বুঝে নিতে হবে যে, ভেতরে কোনো অন্য গল্প রয়েছে।

এই রাজ্য সরকার কখনও বিরোধীদের কাছে জবাবদিহি পর্যন্ত করে না। অথচ যে বিরোধী দল মানুষের দাবি নিয়ে লড়ছে, তাদের কথাকে গুরুত্ব না দেওয়া মানে মানুষের দাবিকে অমান্য করা, তাদেরকে অপমান করা। এটা সরকারের প্রধান ব্যক্তি বুঝতে পারেন না কেন, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তাই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সময় অতীতে করা সম্মেলনগুলি থেকে কি লাভ এসেছে, এই প্রশ্ন উঠবেই। আর সেটাই সুকান্তবাবু করেছেন। যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মত ক্ষমতা দেখাক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিল্প দপ্তর বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, বারবার টাকা নষ্ট করে এই সমস্ত বস্তা পচা ডায়লগ দেওয়া বন্ধ করুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার পদটার অন্তত সম্মান করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝুন, তিনি যে দায়িত্ব রয়েছেন, সেটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব। সেখানে একটু দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হয়। একটু বিবেক নিয়ে কথা বলতে হয়। সেখানে যা ইচ্ছে, তাই বলা যায় না। তবে কে তাকে বোঝাবে এই কথা? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়ে শিল্পের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দিয়ে চুরির নেশায় মেতে উঠেছেন। তার দলের মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে। আর তিনি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রত্যেকবার মানুষের টাকা খরচ করে এই ধরনের নাম করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করছেন। তিনি সম্মেলন করতেই পারেন, এসব নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলছে না। কিন্তু এতদিন তো এরকম অনেক সম্মেলন হয়েছে। সেখান থেকে কি রেজাল্ট এসেছে, সেটা জানিয়ে দিলেই ল্যাটা চুকে যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন, তিনি যা করছেন, সেটাই ঠিক। তার সরকার নাকি বিশ্বসেরা। তাহলে তিনি যে বিশ্বসেরা সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তার একটা নমুনা তিনি রাজ্যের মানুষকে দেখিয়ে দিন। বিরোধীরা যে দাবি করছে যে, শিল্প সম্মেলন তো হলো, কিন্তু তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। তাহলে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাহলেই তো জল এবং দুধ আলাদা হয়ে যাবে। একদিকে তিনি যেমন এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বিরোধীদের জবাব দিতে পারবেন, তেমনই এটাও বড়াই করে বলতে পারবেন যে, তার সরকার সত্যি সত্যিই শিল্প দরদী। রাজ্যের মানুষও তখন ভাববেন যে, না, মানুষের জন্যই কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা যখন এতদিন তার সরকার করতে পারেনি, তখন ভবিষ্যতেও তা করার মত মুরোদ তৃণমূল নেত্রীর নেই। শুধুমাত্র টাকা খরচ করেই এই সমস্ত সম্মেলন এবং মজ মস্তি হচ্ছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!