এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা খুনের অভিযোগ মুকুলের! রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল ঝড়! বাড়ছে উত্তেজনা!

মমতার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা খুনের অভিযোগ মুকুলের! রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল ঝড়! বাড়ছে উত্তেজনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর পর সময় যত এগিয়ে গিয়েছে, ততই শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ রহস্য দানা বেঁধে উঠছে। আর তার সাথে বিতর্ক উস্কে দিয়ে উঠে এসেছে হত্যা না আত্মহত্যার দ্বিমুখী তত্ত্ব। অবশ্য এই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে।

আরো একধাপ এগিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে এলাকার যুব তৃণমূল নেতাকে কড়া ভাষায় অভিযুক্ত করেছেন। অন্যদিকে বিজেপির বিভিন্ন নেতা নেত্রী এই ঘটনায় শাসকদলের আইন-শৃংখলার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন বলে জানা যাচ্ছে। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আজ দিনভর চলল সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ। আর সেই সূত্রে এবার সরাসরি এই মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ জানালেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

অন্যদিকে, একদা তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এই ঘটনার জন্য স্পষ্টতই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন এদিন বলে জানা গেছে। এ সম্পর্কে টুইটারে এদিন মুকুল রায় লিখেছেন, “হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনা আবার স্মরণ করিয়ে দিল বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে।” অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে শুধুমাত্র বিজেপি করার জন্যই কি এভাবে হত্যা করা হলো?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এর আগে কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। সেই মামলায়, বিজেপি নেতা মুকুল রায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নামে মামলা রুজু করা হয় প্রশাসনের তরফে। মুকুল রায় সেই খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে রক্ষা কবচ পেলেও, দীর্ঘদিন তাঁর নদীয়া জেলায় প্রবেশের অধিকার ছিল না। সেই সময় মুকুলবাবু দাবি করেছিলেন, তাঁকে নাকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আজ, বিজেপি বিধায়কের রহস্য মৃত্যুর পরেই তিনি পাল্টা খুনের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুললেন।

তবে বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক হিংসার তত্ত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে হেমতাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন টুইট করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা। এবং তাঁকেও পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃংখলার ব্যর্থতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা গেছে। একইভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি।

তবে এই যুদ্ধ যে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় আটকে থাকার নয় সে কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উপরন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মৃত্যুর ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্য বিজেপি শিবির তৃণমূল নেতৃত্বকে যে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইবে সে কথা স্পষ্ট। তবে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বলে জানা গেছে। আপাতত এই ঘটনাকে ঘিরে আগামী দিনগুলিতে দুই শিবিরের রাজনৈতিক যুদ্ধ যে প্রবলতর হবে, সে কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!