এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রকাশ্য জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর ফোন ট্যাপ চলছে- কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপিকে

প্রকাশ্য জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর ফোন ট্যাপ চলছে- কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজ্য জুড়ে চলছে আজকে একদিকে পঞ্চম দফার নির্বাচন, অন্যদিকে আগামী দিনের ভোটের প্রচার। আজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসেছেন এবং তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ গলসিতে সভা করেন আর গলসির সভা থেকেই নাম না করে বিজেপিকে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করেন তিনি। গতকালই শীতলকুচির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে বিজেপি। যেখানে বলা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী এবং জেলা তৃণমূল সভাপতির মধ্যে কথোপকথন চলছে।

অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে এবং তিনি এই ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চালাবেন বলে জানান। একইসাথে নির্বাচন কমিশনকেও ভোট প্রচারের সময়সীমা কমানো নিয়ে একহাত নেন এদিন নেত্রী। প্রসঙ্গত, শীতলকুচি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের এখনো অব্যাহত। শুক্রবার বিজেপির তরফ থেকে একটি অডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে বিজেপি দাবি করেছে শীতলকুচির ঘটনার পর জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথন সেটি। যদিও এই অডিওটি এখনো পর্যন্ত যাচাই করেনি প্রিয় বন্ধু মিডিয়া।

তবে গেরুয়া শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, কোনো আইনজীবিকে নিয়ে যেন জেলা সভাপতি এফআইআর করেন। এমনকি মৃতদেহগুলিকে নিয়ে পরের দিন র‍্যালি করার নির্দেশ দেন। একই সাথে এই মৃত্যুর ঘটনায় যাতে কম্যান্ড জোন থেকে শুরু করে এসপি প্রত্যেকে যাতে দোষী সাব্যস্ত হয় সেরকমই নাকি তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অডিও ক্লিপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা এটি করেছে তাঁদেরকে খুঁজে বার করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও তিনি জনসভা থেকে জানান। অন্যদিকে এদিন প্রচার সভা থেকে কমিশনকে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, বিজেপির নির্দেশে প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু কোনমতেই দফা কমানো হলনা। সুতরাং রাজ্যজুড়ে যেভাবে করোনা বেড়ে চলেছে, তাতে বড় কোন ঘটনা হলে কিন্তু তার দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। একই সাথে করোনা ভ্যাকসিনের অভাব যেভাবে দেখা গিয়েছে রাজ্যে, তার জন্যও তিনি মোদী সরকারকে দোষারোপ করলেন। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে শুরু থেকেই টালাবাহানা চলছিল।

কিন্তু গতকাল অডিও ক্লিপ প্রকাশ হওয়ার পর নতুন করে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী তিন দফা নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনা বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে। অন্যদিকে আবার অডিও ক্লিপ নিয়ে আজকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই অডিও ক্লিপটা ভাইরাল করেছে তৃণমূলের কেউ। সবমিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তীব্র বিতর্ক চলছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তবে এই বিতর্কের ঝড় যতই উঠুক, লক্ষ্য সবার একটাই রাজ্যের ক্ষমতা হাতে নেওয়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!