এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নতুন করে আবার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়

নতুন করে আবার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট শীতলকুচির ঘটনা খুব বেশিদিন পুরোনো নয়। চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে সিআরপিএফের গুলি চালানো নিয়ে ঝড় বয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। বিনা প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের প্রাণ হারানো নিয়ে নিন্দায় ফেটে পড়েছে অনেকেই। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কোনো যথেষ্ট প্রামাণ্য নথি সামনে আসেনি। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্বাচন কমিশন বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু আজকেও পঞ্চম দফার নির্বাচনে আবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, দেগঙ্গায় ভোট চলাকালীন শূন্যে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে শোনা যাচ্ছে।

এই গুরুতর অভিযোগ চাকলা পঞ্চায়েতের কুরুলগাছা গ্রামের বাসিন্দাদের। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, চাকলা পঞ্চায়েতের 215 নম্বর বুথ কুরুলগাছা গ্রামের মাঠে কয়েকজন বসেছিলেন। সেসময় গ্রামবাসীদের তাড়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেশ কিছুদূর পর্যন্ত দৌড়ে যাবার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী শুন্যে গুলি ছোঁড়ে। গুলির খোল পর্যন্ত নিয়ে চলে যায় তাঁরা। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এক জওয়ান জানিয়েছেন, গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি আওয়াজও কেউ শুনতে পায়নি বলে দাবী কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তবে নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। চতুর্থ দফার ভোটে যেখানে গত শনিবার শীতলকুচি পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় 18 বছরের এক যুবকের। এরপর জোরপাটকি এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বলে অভিযোগ উঠেছে। যে গুলির আঘাতে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও স্বীকার করে নেওয়া হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনা।

অন্যদিকে, শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যে তৃণমূল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তবে আজকে দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে নতুন করে আবার বিতর্ক শুরু হবে রাজ্য রাজনীতিতে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। আপাতত কমিশনের কাছে কি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, সে দিকেই নজর সবার। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগকে কিভাবে নির্বাচন কমিশন দেখবে সেটাও লক্ষ্যণীয়।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!