এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নবীন ভোটারদের ভোটব্যাঙ্কই বদলে দেবে বঙ্গ রাজনীতির মোড়? কোন দিকে মন ঢলছে জানতে মরিয়া সবদলই

নবীন ভোটারদের ভোটব্যাঙ্কই বদলে দেবে বঙ্গ রাজনীতির মোড়? কোন দিকে মন ঢলছে জানতে মরিয়া সবদলই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই মুহূর্তে এক্সট্রা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে রাজ্যের যুবশক্তি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেই অন্তত কুড়ি হাজার নতুন ভোটার যুক্ত হবেন, যারা প্রত্যেকেই 18 বছরে পা দিয়েছেন অথবা সদ্য 18 অতিক্রান্ত করেছেন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুবসমাজের ভোট যে রাজনৈতিক দলের দিকে যাবে তাঁরা বেশ কিছুটা এগিয়ে যাবেন মসনদ দখলের লড়াইতে। আর তাই রাজ্যের প্রতিটি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেনারেশন ওয়াইকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল যুবসমাজের কথা ভেবে চাকরি, বেকারত্ব সহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে নতুন ভোটাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা প্রত্যেক বুথে গিয়ে অল্প বয়সীদের সঙ্গে কথা বলছেন। রাজ্য সরকারের প্রতি যুব সমাজের মনোভাব কেমন, তা যাচাই করে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচারও চালানো হচ্ছে। সেদিক থেকে বিজেপিও পিছিয়ে নেই।

 তাঁদের দাবি, যুব ভোটাররা তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যুবক-যুবতীরা নরেন্দ্র মোদির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যুক্ত হচ্ছেন। গত লোকসভা নির্বাচনেও নতুন ভোটাররা বিজেপিকেই বেশির ভাগ ভোট দিয়েছেন বলে বিনয় বর্মন জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের কর্মবিমুখতা নিয়ে প্রচার চালিয়ে নতুন ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি গেরুয়া শিবির প্রচারপর্বে জানাচ্ছে, বর্তমানে এসএসসি সহ যেসব নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলি বিজেপি সরকার এসে আবার চালু করবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

 অন্যদিকে আরএসপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুচেতা বিশ্বাস এ দিন জানান, বাম আমলে প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হতো। সব ধরনের চাকরির সুযোগ দেওয়া হতো। কিন্তু তৃণমূল এসে সব বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্র বা রাজ্য কেউই কোনো রকম চাকরি পাওয়ার কথা বলেনি। অন্যদিকে কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই 18 বছর বয়সে ভোটদানের অধিকার পেয়েছে যুবসমাজ।

সেসময় কংগ্রেস সরকারের বেশ কয়েকটি ভালো প্রকল্প ছিল, যেগুলি এখন তুলে ধরা হচ্ছে নতুন ভোটারদের সামনে। পাশাপাশি তৃণমূল যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেছে তার সুযোগ ভোটাররা আগেও কংগ্রেস আমলে পেয়েছে সে কথা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এখনো পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবেই পরিচিত। 

জেলায় কর্মসংস্থান বা শিল্প স্থাপন কোনটাই হয়নি। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য এখনোও বাইরে যেতে হয়। সব মিলিয়ে প্রতিটি দল নতুন ভোটারদের কাছে টানতে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। এই অবস্থায় নব্য ভোটাররা কোন রাজনৈতিক শিবিরকে ভরসা করবেন, তা বলে দেবে আর কয়েকদিন পরে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স। তবে ততদিন পর্যন্ত প্রচারেই জোর দিচ্ছেন সবাই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!