এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘বিজেপি’ হয়ে গেছে গোটা গ্রাম! প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী গিয়ে হাতজোড় করে জানালেন ফেরার আহ্বান

‘বিজেপি’ হয়ে গেছে গোটা গ্রাম! প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী গিয়ে হাতজোড় করে জানালেন ফেরার আহ্বান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাকপর্ব থেকেই শাসক দল থেকে ক্রমাগত দলবদল হতে থাকে গেরুয়া শিবিরে। ফলে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের দুর্গে নামে ধ্বস। শাসকদলের বড়-ছোট মেজ নেতা থেকে কর্মী-সমর্থকরা একে একে যোগ দেন বিজেপিতে। ফলস্বরূপ, লোকসভা নির্বাচনে 18 টি সিট দখল করে বিজেপি এবং তাদের সাংগঠনিক জোর যথেষ্টই বাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে তৃণমূল দলের সাংগঠনিক জোর বাড়াতে ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ের শহীদ মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছিলেন ভুল বুঝে যারা চলে গিয়েছেন তাদের ফিরে আসার।

আর এবার তৃণমূল থেকে যাতে কেউ চলে না যায়, তার জন্য রীতিমতো হাতজোড় করে আবেদন করে বৈঠক করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তরা সিংহ। বুধবার সকালে চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসত অঞ্চলের ভেলাইটিকরি বুথের কাশিকাটা গ্রামে যান উত্তরা সিংহ। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং লোকসভা নির্বাচনে ভেলাইটিকরি বুথের কাশিকাটা গ্রামে গেরুয়া শিবির বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল শিবির পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গ্রাম নিয়ে চিন্তিত‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এবার সেখানে গিয়ে হাত জোড় করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাই বলা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা সিংহ জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষরা দীর্ঘদিন অভিমানের কারণে দূরে সরে গিয়েছিল। তাই তাঁদের ফেরার আবেদন করেছি। অন্যদিকে তৃণমূলের এই কর্মপদ্ধতি দেখে ইতিমধ্যে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির।

ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপির গৌতম কৌরি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার জন্য অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ভেলাইটিকরি বূথের কাশিকাটা গ্রামের কর্মী বদল খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই কাশিকাটা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই বিজেপি করেন। সেক্ষেত্রে এই গ্রাম তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই গ্রামের মানুষেরা কোন দিকে হেলে ভোটবাক্স ভরায়, সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!