প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে যখন যুদ্ধ চলছে জোরকদমে, এমন সময় জানা গিয়েছিল মিসৌরি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন একটি নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী। ইতিমধ্যেই আমেরিকার শুরু হয়ে গেছে যার প্রথম পর্বের ট্রায়াল। জানা গেছে, ভ্যাকসিনটি ছাড়পত্র পেলে সেটির ১০০ কোটি ডোজ তৈরি করে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যোগান দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োটেক। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ছাড়াও আমেরিকা, জাপান এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে তারা। যদি এই ট্রায়াল প্রথম ধাপে ভালো ফলাফল করে তবে ভারতে এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা যায়।

সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল, যে ভ্যাকসিনই আসুক, তা সাধারণ মানুষের কাছে কতটা সহজলভ্য হবে বা তার বন্টন কতটা সহজ ভাবে করা যাবে? এক্ষেত্রে জানা গিয়েছিল, আমেরিকাতে ট্রায়াল চালানো এই নতুন ভ্যাকসিনটি শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য নাকের সাহায্য নেওয়া হবে। অর্থাৎ নাকের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যার ফলে ইনজেকশনসহ অনেক কিছুরই খরচ কমে যাবে। আর ডাক্তারের কথায় নাক দিয়ে নেওয়া হলে ভ্যাকসিনের একটি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। অন্যদিকে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে বাছাই করে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে কেইএম হাসপাতাল। এছাড়াও এই ফলাফল ভালো হলে অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানা যায় সরকারি তরফে।

তবে এবার সেখানে এসেছে কিছু চমকে দেওয়া খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমনিস্ট্রেশনের কথা মত, ভারতে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরুর আগেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা নিয়ে হাজির হল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই। জানা গেছে, ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যদি ৫০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া যায়, তাহলেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে টিকাকে। এদিন আইসিএমআর প্রধান জানিয়েছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে এমন কোনও রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ থাকে না। তাই ‘হু’র নির্দেশমাফিক কোনও কোভিড টিকার ফেজ থ্রি ট্রায়ালে অন্তত ৫০ শতাংশ কার্যকর হলেই সেই টিকা ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

তবে এক্ষেত্রে যে সব সংস্থা টিকা প্রস্তুত করছে, তাদের ‘এনহ্যান্সড রেসপিরেটরি ডিজিজ’-এর ঝুঁকি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পরিবেশন করতে হবে। অন্যদিকে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপরও বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানা গেছে। ডিসিজিআই সূত্রে জানা গেছে, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের কেউ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, টিকা প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে গর্ভাবস্থার পরিণতির দিকেও নজর রাখতে হবে। মহিলার ভ্রূণ এবং পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে সেই সঙ্গে শরীর-স্বাস্থ্য বিষয়েও খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে।