এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শুরু হয়ে গেল কালীপুজোর চাঁদার জুলুম – জল্পনা বাড়িয়ে গ্রেপ্তার তিন তৃণমূল কর্মী

শুরু হয়ে গেল কালীপুজোর চাঁদার জুলুম – জল্পনা বাড়িয়ে গ্রেপ্তার তিন তৃণমূল কর্মী

রাজ্যে পালাবদলের পরই দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জোর করে কারো কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না।” আর উৎসবের মরসুমে কালীপূজা উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের কাছে বলপূর্বক চাঁদা আদায়ের জন্যই এবার গ্রেপ্তার হতে হল শাসকদলের তিন কর্মীকে।

সূত্রের খবর, প্রতিবারের ন্যায় এবারও দমদম ক্যান্টনমেন্টের নতুন বাজার এলাকায় “রবীন্দ্রনগর নতুন বাজার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি” নামে একটি কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। অভিযোগ, এবার সেই পূজো উপলক্ষে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে 40 হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার পাশাপাশি কিছু স্পন্সরশীপের দাবি করা হয়েছিল।

কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবসায়ীরা। আর এরপরই ঘটে এক আশ্চর্য ঘটনা। গতকাল সকালে দোকান খুলতে এসে ব্যবসায়ীরা দেখেন যে, এম-সিল এবং গালা লাগিয়ে দেওয়ায় তাদের দোকানের তালাটি খোলা যাচ্ছে না। করে ব্যবসায়ীদের তরফে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তালাটি ভেঙে দেয়। কিন্তু একই জায়গায় পরপর দশটি দোকানের তালা এইভাবে সিল করে দিল কে বা কারা?

ব্যবসায়ী দিন একাংশের দাবি স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে চাঁদা না দেওয়াতেই তাদের এহেন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এদিকে এহেন ঘটনায় গতকালই রাস্তায় নেমে এক ঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সত্যজিৎ পাল বলেন, “কি করা হবে সে বিষয়ে একটি বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

কোন দিকেই দোকান সিল করে দেয়ার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তপু বিশ্বাস, রাম দে এবং বিবেকানন্দ দে কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর এই ঘটনায় প্রবল চাপে পড়েছে শাসকদলও। দল যখন চাঁদা জুলুমের বিরুদ্ধে তখন দলের কর্মীরাই সেই নির্দেশ মানছে না কেন?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর জগন্নাথ বিশ্বাস বলেন, “কোনোভাবেই আমরা এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না। আইন আইনের পথে চলবে। গোটা ঘটনা শীর্ষনেতৃত্বকে জানিয়েছি।” সব মিলিয়ে চাঁদা জুলুমে শাসকদলের কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ফের রাজধর্ম পালন করল রাজ্য প্রশাসন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!