হনুমানের বুকে রাম-সীতা, আমার বুকে এঁরা দুজন: জল্পনা বাড়িয়ে বললেন মদন মিত্র বিশেষ খবর রাজ্য February 11, 2018 সারদা কাণ্ডে দীর্ঘদিন জেল-জীবন কাটাতে হয়েছে, এর মাঝেই নাম জড়িয়েছে নারদ কাণ্ডেও। আর তাই ধীরে ধীরে গেছে মন্ত্রীত্ত্ব, এমনকি বিধায়ক পদও। তবুও তাঁকে নিয়ে জনতার আবেগের শেষ নেই – তিনি প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী ও শাসকদলের ‘একসময়ের’ দাপুটে নেতা মদন মিত্র। কিন্তু ইদানিং রাজনৈতিক বাতাসে গুঞ্জন, তিনি নাকি দলের মধ্যে সেভাবে ‘পাত্তা’ পাচ্ছেন না। রাজ্যে একের পর এক নির্বাচন-উপনির্বাচন পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রচারের জন্য ডাক পড়ছে না তাঁর। গত ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে নাকি ‘জায়গা’ হয় নি তাঁর, এক ফলের দোকানের টুলে বসে পুরো অনুষ্ঠান দেখেছেন তিনি। নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে প্রথমে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা ছড়ালেও, প্রার্থী তো দূরের কথা প্রচারেও ডাক পান নি তিনি। আর তাই ‘হেভিওয়েট’ নেতা মদন মিত্রকে নিয়ে ছাড়িয়েছে নানা জল্পনা। কোনো সংবাদমাধ্যম লিখেছে, তিনি নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন যে হবে ‘নভেম্বর বিপ্লব’, অর্থাৎ নভেম্বর মাসে বড়সড় ঘোষণা করতে পারেন তিনি। কোনো সংবাদমাধ্যম তো সরাসরি তাঁকে বিজেপিতে যোগদান পর্যন্ত করিয়ে ফেলেছেন। ইদানিং তাঁর ‘লাল’ পাঞ্জাবি পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর অপছন্দের রঙ ‘লাল’ অথচ মদনবাবু নাকি সেই দলনেত্রীর সামনেই ‘লাল’ পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরছেন! তিনি কি নতুন কোনো বার্তা দিতে চান? প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমকে মদন মিত্রের উত্তর, বিতর্ক উস্কে দেওয়াটাই তোমাদের কাজ, তাই না? হনুমান যেমন বুক চিরে রাম-সীতার ছবি দেখিয়েছিল, আমারও বুক চিরলে তৃণমূল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে পাবেন। আমি বরাবরই দিদির অনুগত সৈনিক। সঙ্গে আরো যোগ করেন তিনি, যেদিন মন ভালথাকে সেদিন লালরঙের পাঞ্জাবি পরি। কারণ, লাল মানেই ভালবাসার রঙ। মন খারাপ থাকলে কালো, আর যেদিন কিছু প্রাপ্তিযোগের সম্ভবনা থাকে সেদিন সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরি। লোক দেখানো আদর্শে আমি বিশ্বাসী নয়। আদর্শের মাধ্যমেই তৈরি হয় চরিত্রের গঠন। আর মনের কথা শুনলে শরীরটা চনমনে থাকে। হোক না দুটো বিপরীত মেরুর, তাতে কি এসে যায়! আমার আলমারিতে লাল পাঞ্জাবির সংখ্যা সবথেকে বেশি। কমপক্ষে ১০০টা তো হবেই! লাল তো ভালবাসার রঙ। যেদিন আমার মন ভাল থাকে সেদিন লাল-ই পরি! আর তাই সব সমালোচকদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি যেমন ‘দিদির’ অনুগত সৈনিক ছিলেন, তেমনই আছেন। গেরুয়া-লাল কোনো শিবিরের দিকেই তাঁর মন নেই, তিনি আদি-অকৃত্রিম তৃণমূলী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আপনার মতামত জানান -