এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রীম কোর্টের! মহরম নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন সংখ্যালঘু সমাজ?

করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রীম কোর্টের! মহরম নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন সংখ্যালঘু সমাজ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার প্রকোপ। আর তার ফলে আতঙ্কে ভুগছেন সবাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন করলেও তার বিশেষ কিছু ফল হয়নি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে বাইরে বেরোনো তো দুর অস্ত, কোন উৎসব অনুষ্ঠান পালন করা যাচ্ছে না। একের পর এক উৎসব চলে যাচ্ছে। কিন্তু আগের মতন পরিস্থিতি আর নেই। জন্মাষ্টমী, গণেশ চতুর্থী সবই গেল, কিন্তু উৎসবের সেই প্রাণ আর নেই।

এই অবস্থায় এবার দেশের মুসলিম সমাজ সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন রেখেছিল, মহররমের শোভাযাত্রা বার করতে চায় বলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই আবেদন পুরোপুরি খারিজ করেছে দেশের শীর্ষ কোর্ট এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই আবেদন খারিজের একমাত্র কারণ জনগণের সুরক্ষা। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এস বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন এদিন। বিচারপতিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশজুড়ে মহরম এর নির্দেশ দেওয়া হলে সেখানে জটিলতা তৈরি হবে এবং করোনার সংক্রমণ প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী হবে কোন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি। চলতি মাসে যাতে মহরম ভালোভাবে পালন করা যায় তাই নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কে জাওয়াদ নামের এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি আর্জি রেখেছিলেন, যেভাবে পুরীতে রথযাত্রায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল, মুম্বাইয়ের জৈন মন্দিরে জৈন সম্প্রদায়কে পুজোর ছাড় দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই যেন মহরমেও শোভাযাত্রা বের করার ওপর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রথ এবং জৈন মহোৎসব কোন নির্দিষ্ট এলাকায় সংগঠিত হয়েছিল। যদি নির্দিষ্ট কোন জায়গায় মহরম উৎসবটি পালিত হতো তাহলে সেক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটি বিবেচনা করে দেখা যেত। কিন্তু যেহেতু পুরো দেশে মহরম পালনের কথা বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি দেখেই রায় দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত করোনার প্রাথমিক দিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর দোষারোপ হয়েছিল করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার।

সেক্ষেত্রে দিল্লিনিজামুদ্দীন মসজিদে তবলিগী সম্প্রদায়ের একটি জমায়েতকে দায়ী করা হয়েছিল। অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতির সামান্য হলেও উন্নতি হচ্ছে। কারণ আক্রান্তের থেকে সুস্থতার হার সামান্য হলেও বেড়েছে। আপাতত আর কতদিন এইভাবে উৎসব বিমুখ হয়ে থাকতে হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন সাধারণের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!