এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আবারও গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে, হাল ধরতে মাঠে নামলেন অনুব্রত, শেষ রক্ষা হলো কি? উঠছে প্রশ্ন

আবারও গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে, হাল ধরতে মাঠে নামলেন অনুব্রত, শেষ রক্ষা হলো কি? উঠছে প্রশ্ন


লোকসভা নির্বাচনের পর দলের শৃঙ্খলা আনা জরুরি, তা অনুধাবন করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই জেলায় জেলায় দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল রোধ করার কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তবে বেশ কিছু জেলায় তৃণমূলের নেতারা একত্রিত হয়ে চললেও যে জেলা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, যেখানকার নেতা অনুব্রত মণ্ডল সেখানেই এবার প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অনেক আগে থেকেই বীরভূম জেলার মল্লারপুরে জটিল মণ্ডলের সঙ্গে আশিসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কানে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের। এ নিয়ে বহুবার গন্ডগোল হয়। তবে এবার কোটাসুরে দুই গোষ্ঠীর নেতাকে নিয়ে সভা করলেন অনুব্রত মণ্ডল।

মল্লারপুর এর ব্লক সভাপতি নারায়ন প্রসাদ চন্দ্রের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহু আগেই খবরের শিরোনামে এসেছে। কিন্তু হাজার বার অনুরোধ করার পরেও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনো চলছে বীরভূমে। এদিন কোটাসুরে অনুব্রত মণ্ডলের সভা ছিল। এই সভায় অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কোন কথা বলেন কিনা সে নিয়ে উৎসুক ছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সব কৌতূহলে জল ঢেলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কোন কথা অনুব্রত মণ্ডল এদিন বললেন না।

তৃণমূল সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসে মল্লারপুর এক দলীয় সভায় জটিল মন্ডলকে দল ভাঙার কান্ডারী রূপে দায়ী করার পরে আশিসবাবুর অনুগামীরা প্রতিবাদ করে। এর বিরোধিতা করতে জটিল মন্ডল এর অনুগামীরাও প্রতিবাদ করে। সেসময় অনুব্রত মণ্ডল নিজে এই ঝামেলা মেটাতে মেদিনীপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে উভয় গোষ্ঠীকে নিয়ে মিটিং করেন এবং সেখানেই পঞ্চায়েত সমিতির 21 জন সদস্যদের মধ্যে 18 জন সদস্য জটিল মন্ডলের অন্দরে কাজ করতে আপত্তি জানান এবং পদত্যাগপত্র দেন। সে সময় জটিল মন্ডলকে ছমাসের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু জটিল মন্ডল সেই নির্দেশ না মেনে এখনো পর্যন্ত তিনি কাজ করে চলেছেন। তাই এবার জটিল মন্ডলের নেতৃত্বাধীন এন আর সি ও সিএএ বিরোধী মিছিল বয়কট করার হুমকি দিয়েছে আশিস ও তার অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বীরভূমের কোটাসুরে সভা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এই সভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করবেন। কিন্তু আদতে তা হয়না। অনুব্রত মণ্ডল এদিনের সভায় শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন। সেইসঙ্গেই অনুব্রত আরো জানান, ”সপ্তাহে চার দিন রেশন সামগ্রী দিতে হবে। যদি কোনও রেশন ডিলার তা না দেন তা হলে তাঁকে জেল খাটতে হবে।” এদিনের সভায় অনুব্রত মন্ডলের সাথে মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভিজিৎ রায় ও সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী এবং প্রমুখরা।

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে প্রতিদিন এমনিতেই দলীয় সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। তারই মধ্যে এতদিন পর বীরভূমের আশিস-জটিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সামনে আসতে তৃণমূল নেত্রী রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। তাই এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেরামতি করতে তৃণমূল নেত্রী কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শাসক দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে তা অবিলম্বে থামাতে না পারলে পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস বড় রকমের অসুবিধায় পড়তে পারে। আপাতত দেখার মুখ্যমন্ত্রী বারণ করার পরেও যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো বীরভূমে, তা সামাল দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!