এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একুশের যুদ্ধজয়ে মুকুলকে বাদ দিয়েই কি ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন দিলীপ? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা!

একুশের যুদ্ধজয়ে মুকুলকে বাদ দিয়েই কি ঘুঁটি সাজিয়ে ফেললেন দিলীপ? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই একুশের বিধানসভার মসনদ দখলের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছিল গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশি দেরি নেই। তাই এবার জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। বাংলা জেতার লক্ষ্যে আয়োজিত সম্প্রতি বিজেপির দলীয় বৈঠকের উদ্দেশ্যে দিল্লি পাড়ি দেন বাংলার হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা। কিন্তু বৈঠকের প্রথম দিনেই তাল কাটার আভাস মিলল।

রাজনৈতিক অলিতে-গলিতে বর্তমানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, একদা তৃণমূল শিবিরের second-in-command বর্তমানে যিনি গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেতা বলে পরিচিত সেই মুকুল রায়ের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে বাংলার বিজেপি শিবিরের। অনেকেই মুকুল-দিলীপ দ্বৈরথ বলেই এই দূরত্বের নাম দিয়েছেন। যদিও পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুকুল এবং যথেষ্ট ভাল ফল করে রাজ্যে বিজেপি।

এমনকি বর্তমানে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল শিবির এর অনেকেই গেরুয়া শিবিরে এসে যোগ দিয়েছেন এবং সংগঠন মজবুত করেছেন। অনেকেই আবার মুকুল রায়ের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব সাইড লাইনে রেখে ভরসা করছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর। আর এখানেই লেগেছে সংঘাত।

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল রায় যদি এখন থেকেই বিজেপি শিবিরে সাইড হয়ে যান, তাহলে তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে ফ্রন্টলাইনের লড়াই কে লড়বেন? রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, যেহেতু মুকুল রায় তৃণমূলের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন, তাই তৃণমূলের নারীনক্ষত্রের হদিস তিনি জানেন। সেক্ষেত্রে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যদি মুকুল রায়কে এভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের জন্য অশনি সংকেত দেখা দিতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি নেতৃত্বের মুকুল রায়কে দিয়ে তৃণমূলের ঘরে যথেষ্ট ভাঙন ধরানো হয়ে গেছে। তাই এবার বাকি কাজ সামাল দিতে আসরে নামছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের অন্যান্য নেতারা। সে ক্ষেত্রে মুকুল রায়ের আর কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থেকেই বিতর্ক বাড়িয়ে মুকুল রায় একদিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়লেন। যদিও মুকুল এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, তিনি চোখের ডাক্তার দেখাবেন বলেই ফিরে এলেন বৈঠকের মাঝপথ থেকে।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, বর্তমানে বাংলা বিজেপি শিবিরে মুকুল রায়কে কিছুটা গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে যথেষ্ট মনক্ষুণ্ণ মুকুল ঘনিষ্ঠরা। তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপি শিবিরের দূরত্ব যে বেশ অনেক আগেই তৈরি হয়েছে, সেকথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মুকুল রায় ইতিমধ্যে বিজেপির সদর দপ্তরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে দিল্লীর ডাকে একাই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির বৈঠকে। আবার বৈঠক একদিন পেরোতে না পেরোতেই কলকাতা ফেরার রাস্তা ধরলেন।

অভিযোগ উঠেছে মুকুল রায় চূড়ান্ত অপমানিত হন দিল্লির বৈঠকে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলা জয়ের লক্ষ্যে গেরুয়া শিবির যদি মুকুল রায়কে সাইড লাইনে করে দেয় তাহলে ভবিষ্যতে যদি কোন অঘটন ঘটে, সেক্ষেত্রে বিজেপি কাউকেই দায়ী করতে পারবে না। আপাতত মুকুল রায় কে নিয়ে রাজ্য বিজেপি শিবিরের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা আরো বাড়বে নাকি আগামী দিনে 2021 এর বিধানসভার কথা মাথায় রেখে এই দূরত্ব দু তরফই মেটাতে আগ্রহী হবেন, সেদিকেই এখন আগ্রহী নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!