প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে এর আগে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রামমন্দির হবে এই আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল। আর তারপরে মন্দির নির্মাণে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আর এবার মন্দির নির্মাণের কারণে ভূমি পুজোর আয়োজন হয়েছে অযোধ্যায় তথা উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু এই ভূমি পূজা নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। ইতিমধ্যে ভূমি পূজা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে সেক্ষেত্রে শেষ হাসি হেসেছে অযোধ্যা মন্দির নির্মাতারা।

কারণ এলাহাবাদ কোর্ট ইতিমধ্যে ভূমি পূজাকে সমর্থন করেছে। কিন্তু ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। কারণ করোনা আবহে অযোধ্যায় ভূমি পূজা করলে কেন্দ্রীয় সরকারের আনলক টুর নিয়মবিধি ভাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর ঠিক এই কারণে কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাকেত গোখলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, এই ভূমি পূজা আটকানোর জন্য। এবং তাঁর কথাতেও উঠে এসেছিল আনলক টুর গাইডলাইনকে লংঘন করা হচ্ছে।

এবং এক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ভূমি পুজো করলে বহু মানুষ করোনা আবহে একত্রিত হবে যা আইনবিরুদ্ধ। জানা গেছে, আবেদনে আরও বলা হয়েছিল ভূমি পূজার আয়োজনের ফলে করোনা কিন্তু আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন যে একদমই ফলো করছে না সে ব্যাপারেও জানান তিনি। উপরন্তু সাকেত হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন, যে কারণে বকরি ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হলনা মুসলিমদের শুধুমাত্র করোনার মধ্যে ভিড় এড়ানোর কারণে, সেখানে অযোধ্যা মন্দিরের ভূমি পূজা করার অনুমতি কিভাবে দেওয়া হলো?

কিন্তু আদালতে কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলের অভিযোগ ধোপে টেকেনি। রাম মন্দিরের ভূমি পূজার বিরুদ্ধে তাঁর আবেদনকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশ নিঃসন্দেহে অযোধ্যা মন্দির নির্মাতাদের মধ্যে খুশির আবহ তৈরি করেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে কংগ্রেসের যুদ্ধ আরো একবার প্রকাশ্যে এল। তবে দেখার, এলাহাবাদ হাইকোর্টে কংগ্রেস নেতার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এবার তিনি ভূমি পূজা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন কিনা।