তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন হেভিওয়েট বাম সাংসদ মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 9, 2018 রাজ্য বামফ্রন্টের শক্তি কমছে ক্রমশ। ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। দলের বিশ্বস্ত সেনাপতিরাই লোকসভা ভোটের আগে দলত্যাগ করছেন। সম্প্রতি বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন সংসদ তথা বামেদের হেভিওয়েট নেতা মইনুল হাসান। ঘাসফুল শিবিরের টিকিট কাটতে চলেছেন তিনি,এমনটাই আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেন। কট্টর বিজেপি বিদ্বেষী এই নেতা জানালেন বিজেপি হটাও ইস্যুকে নিয়ে সিপিএমের দলীয় অন্দরে মতানৈক্যের কথা। বললেন বিজেপিকে এখনো ফ্যাসিবাদী দল হিসাবে ভাবতে পারছেন না বাম তরফের নেতারা। এটাই তাঁর দল ত্যাগ করার প্রকৃত কারণ। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেলো, মুর্শিদাবাদ জেলা তো বটেই,গোটা রাজ্যেরই বাম নেতাদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট হলেন মইনুল হাসান। ১৯৯৮ ও ২০০৮সালে জেলার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালেও তিনি রাজ্যসভার সংসদ সদস্য পদটি পান। তবে রাজ্যে তৃণমূল শাসক আসার পর থেকেই অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি। এবং দলীয় অন্দরের খবর থেকে জানা গেছে ,২০১১সালে রাজ্যের ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আসার পর থেকেই দল পরিচালনা নিয়ে সিপিএম এর অন্য নেতৃত্বদের সঙ্গে মইনুলসাহেবের বেশ মতানৈক্যের হাতেখড়ি হয়। এর জেরে কয়েক মাস আগে তিনি দলের রাজ্য কমিটির সদস্যপদটিও হারান। এরকম পরিস্থিতিতে তিনি এদিন সিপিএম ত্যাগের সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এ প্রসঙ্গে পাওয়া যায় মইনুল সাহেবের মন্তব্যও। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে বহুদিন থেকেই তাঁর মতামত অবহেলা করা হচ্ছে,বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে। তাই তাঁর কোনো মতামত যে দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়,সে দলের থাকার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। এই ইস্যুটিকে নিয়ে তিনি অনেকদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা করছেন, এদিন তাঁর সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন শুধু। দলত্যাগের কারণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেছেন তিনটি যুক্তি। প্রথমত, বর্তমানে দেশের সবথেকে বড় শত্রু বিজেপি সরকার। তাকে কেন্দ্র থেকে সরানোর জন্য দরকার জোটবদ্ধ আক্রমণ। কিন্তু বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়তে দলীয় অন্দরেই প্রচুর মতবিরোধ হচ্ছে। এখনো দোদুল্যমানতা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। এমনকি বিজেপিকে ফ্যাসিবাদী দল বলতেও দলীয় কর্মীদের ঘোর আপত্তি। সিপিএমের নতুন দলিলেও বিজেপিকে ফ্যাসিবাদী বলে উল্লেখ করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, দলে গুরুত্বহীন মুসলিম মহিলারা। তাঁদের কোনো জায়গায়ই দেওয়া হয়নি দলে। রাজ্য কমিটির ১৫জন মহিলার মধ্যে কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির ১০০জনের মধ্যে একজনও মুসলিম বা দলিতদের প্রতিনিধি নেই। তৃতীয়ত, দলকে চাঙ্গা করার মতো কোনো যুব নেতাই নেই। এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যকপ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কেনো মন্তব্যই করেননি। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে মইনুল সাহেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, এখনই কোন দলে যাবেন সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়নি। লেখালেখি,মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো,বিশ্বকাপ,ফুটবল,অন্যান্য খেলা,সংবাদ চ্যানেল, সংবাদপত্র এবং বইপড়েই সময় কাটাতে চান তিনি। হ্যাঁ যদি তৃণমূল তাদের দলে যাওয়া জন্য প্রস্তাব পাঠায় তবে তখন সেটা তিনি ভেবে দেখবেন বলে সাফ কথায় জানান এদিন। আপনার মতামত জানান -