এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির কোনো নেতা ভাঙাতে পারবে না তৃণমূল, কৌশলের জাল বুনছেন শুভেন্দু!

বিজেপির কোনো নেতা ভাঙাতে পারবে না তৃণমূল, কৌশলের জাল বুনছেন শুভেন্দু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলবদল এবং বঙ্গ রাজনীতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সমার্থক হয়ে গিয়েছিল বাংলায়। তৃনমূল থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা যোগ দিতে শুরু করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে হয়ত বা এই ভাবনাতে নিশ্চিত হয়েই এবং তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে সেই সমস্ত নেতা নেত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই এবং তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না করতেই আবার ঘর ওয়াপসির জল্পনা শুরু হয়েছে।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া একের পর এক নেতা নেত্রীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিও গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে বলে দাবি করছে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। তবে এবার যে আর এ রকমটা হবে না, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত একসময় তৃণমূলে থেকে দল ভাঙ্গানোর কারিগর তথা বর্তমানে বিজেপি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন লাগাতার দাবি করা হচ্ছে, বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তখন সরাসরি তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে পারলে দল ভাঙিয়ে দেখাক বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেসে যখন শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন, তখন কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে দল বিস্তার করার দায়িত্ব তার কাঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের মত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি দায়িত্ব নিয়ে দলকে বিস্তার করার জন্য প্রথমেই কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ দল ভাঙ্গাতে তিনি যে বেশ পটু, তা আগাগোড়াই স্বীকৃত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তবে এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধী দলনেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে অতীতের মত অবস্থায় বিজেপি যদি থাকত এবং তাদের যদি এত শক্তিশালী বিরোধী দলনেতা না থাকত, তাহলে হয়ত বা তাদের অনেক জনপ্রতিনিধি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাতেই পারতেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসেবে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই কিভাবে দল ভাঙানোর খেলা আটকাতে হয়, তা তিনি ভালোই জানেন বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নানা নেতা-নেত্রীরা দাবি করছেন, বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভ্রাংশু রায় সহ একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার বেসুরো মনোভাব রীতিমত গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন ধরার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সেই ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে দেখা গেল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে রীতিমত তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। তিনি বলেন, “এই খেলা প্রথম শুরু করেছিল। এখন বিরোধী দল বিজেপি। আর প্রতিপক্ষের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। চ্যালেঞ্জ করছি, দল ভাঙিয়ে দেখান। দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে। আর সেটা কিভাবে কাজে লাগাতে হয়, সেটাও জানা আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদি দল ভাঙানোর মত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে ছিপ নিয়ে বসে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। এক সময় তৃণমূলে বিরোধী দলের অনেক নেতা নেত্রীদের ভাঙিয়ে নিয়ে এসেছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী। ফলে দলবদলের চ্যাপ্টারটা তিনি ভালোই জানেন।

তাই এক সময়কার তৃণমূলের সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী যখন বিরোধী শিবিরের প্রধান নেতা, তখন তার চোখ এড়িয়ে বিজেপিকে ভাঙ্গানো যে অত সহজ নয়, সেই ব্যাপারটি স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। যার ফলে এক প্রকার স্পষ্ট যে, এবার দল ভাঙ্গানোর খেলা বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হলে তা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াইতে পরিণত হতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!