এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 8ও 9-এর কর্মচারী ধর্মঘটে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী

8ও 9-এর কর্মচারী ধর্মঘটে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী


রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিরোধী দলগুলির ডাকা সমস্ত ধর্মঘটকে প্রতিহত করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল। কিন্তু আগামী 8 এবং 9 জানুয়ারি দু’দিনব্যাপী সারা ভারত জুড়ে বাম দলগুলোর ডাকা ধর্মঘটে হয়ত সেই ভাবে বাধা দেবে না শাসক দল বলেই মনে করেছিল একাংশ।

কেননা মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই এই ধর্মঘট ডেকেছে বামেরা। ফলে সেদিক থেকে এই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রবল বিরোধী হিসেবেই পরিচিত রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। তাই আগামী দু দিন ব্যাপী রাজ্যে বামেদের ডাকা ধর্মঘটের ব্যাপারে অতটা কড়াকড়ি করবেন না মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হলেও অবশেষে সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। বাম-অবাম মিলিয়ে দশটি ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের এই ধর্মঘটকে মোকাবিলা করতে এবার অবশেষে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ধর্মঘট সমর্থনকারীদের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হলেও এবার সেই সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।বামেদের ডাকা এই ধর্মঘটকে মোকাবিলা করতে অতীতের মতই প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি সমস্ত কিছু সচল রাখার কথা বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ধর্মঘটের দিন রাজ্যকে সচল রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, 8 এবং 9 জানুয়ারি ধর্মঘটের দিন কোনো কর্মীর ছুটি নেওয়া যাবে না। এমনকি ধর্মঘটের আগের দিন 7 জানুয়ারি এবং পরের দিন 10 জানুয়ারিতেও কোনো ছুটি নিতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা।

তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা মাতৃত্বকালীন অবস্থায় থাকলেই এই সরকারি কর্মীরা ছুটি নিতে পারবেন। এমনকি বন্ধের দিন যে সমস্ত সরকারি দপ্তরে কর্মীরা আসবেন না তাদের শোকজও করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। জানা গেছে, বামেদের এই সাধারণ ধর্মঘটের মোকাবিলা করতে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের একটি বৈঠকও হয়েছে।

এদিকে রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি বিরোধিতায় আমি সব রকম আন্দোলনে আছি। কিন্তু বনধ বা ধর্মঘট আমি কখনই সমর্থন করব না।”

এদিকে বন্ধের দিনে এইভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মচারীদের অফিসে আসার ব্যাপারে সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিনহা। এদিন তিনি বলেন, “এরকম সার্কুলার অতীতেও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু অনেকেই তা উপেক্ষা করে ধর্মঘট পালন করেছেন। তাই রাজ্য সরকার যতই হুমকি দিক না কেন এই ধর্মঘট হবেই।”

অন্যদিকে তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা এই ধর্মঘটে তারা যে সামিল হবেন না এদিন তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন সেই সংগঠনের নেতা সৌম্য বিশ্বাস। সব মিলিয়ে এবার ধর্মঘট রোখার ব্যাপারে রাজ্যের এহেন কড়া নির্দেশিকায় আদৌ বামেদের এই ধর্মঘট কতটা সফলতার মুখ দেখে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!