লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে শাসকদলকে বিরোধীরা অস্বস্তিতে ফেলতে চলেছে যে পাঁচটি বিষয়ে কলকাতা রাজ্য January 5, 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবং গেরুয়া ঝড় তুলছে তীব্র মরিয়া বিজেপি। আর তার উপর সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে লেগেই রয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসের কটাক্ষের সুর। যার ফলে বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে প্রভূত উন্নয়ন করেছে বলে দাবি করলেও এবং সেই উন্নয়নে নিরিখেই তারা এই রাজ্যের লোকসভা 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসন নিজেদের দখলে পাবে বলে জানালেও বিরোধীরা কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের উন্নয়ন নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বকেয়া কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। আর যে ক্ষোভ প্রশমন করতে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি সংগঠন মামলা করেছে আর তা ক্রমশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে শুনানির দিন পিছন হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিওবা লোকসভা ভোটের আগে সম্প্রতি জানুয়ারি মাসে কিছু ডিএ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে সরকার। আর এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ যে, ৬ মাস আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যে ১২৫% ডি এ দিয়ে দেবেন ২০১৯ এর ১জানুয়ারী তারিখ থেকে তা কার্যকরী হবে তবে আবার ২০১৯ এর ৩রা জানুয়ারী যে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যে সব বকেয়া ডি এ মেটানো হবে তবে তা দিতে গেলে তো প্রয়োজন ১৪৮ % ডি এ দেবার সেটা কোথায় উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী সব দিচ্ছেন না কেন? এটা তো তাদের অধিকারের মধ্যে পরে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - লোকসভা ভোটের আগে ভোট বৈতরণী পার হতেই সরকারের এই চমক। এদিকে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে যখন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই ক্ষমতায় আসার আগে বিপুল কর্মসংস্থান দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে বেকারদের সঠিক কাজের ব্যবস্থা না করায় প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে মাঠে নামছে বিরোধীরা। আর এই কর্মসংস্থানের ইস্যুটিকে ভিত্তি করে যযদি লোকসভা ভোটে বিরোধীরা এই রাজ্যে লড়ে তাহলে যুবকদের ভোটব্যাংকে অনেকটাই বেগ পেতে হতে পারে শাসক শিবিরকে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিগত বাম আমলে কারখানা করার কথা থাকলেও সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে কৃষি জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে সেখানকার বাম সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে রাজ্যে পরিবর্তন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপর থেকেই রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি ছিল যে, জোর করে কৃষি জমি কেড়ে নিয়ে কোথাও শিল্প স্থাপন করা হবে না। এমনকি কদিন আগেই আইনি জটিলতার পর সিঙ্গুরের কৃষি জমিকে চাষযোগ্য করে দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেই কৃষি জমিতে চাষ তো দূর অস্ত, উল্টে সেই জমি চাষের অযোগ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা । এমনকি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যে তেমন কোনো বড় মাপের শিল্প আসেনি বলেও অভিযোগ করছে বাম কংগ্রেস এবং বিজেপি। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে সেই শিল্পায়ন নিয়ে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বাজিমাত করতে পারে বিরোধীরা। কিন্তু শিল্পের পাশাপাশি শাসকদলের বিভিন্ন কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ যে, তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটরাজে এই রাজ্য জর্জরিত হয়ে উঠেছে। এমনকী বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষও শাসকদলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এই তোলাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরকে। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সেই তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট নিয়েও শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের সব থেকে বড় অভিযোগ যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী থেকে শীর্ষস্তরের সকলেই গণতন্ত্রকে হরণ করছে। নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি রাজ্যের গণতন্ত্র যে বিগত বাম আমলের থেকেও বেশি ধুলুণ্ঠিত হয়েছে সেই কথা বলে বিভিন্ন সময় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সেই তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সব মিলিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যের গণতন্ত্রকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হরণ করছে – এই অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে আরও বেশি করে করা হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাধারন মানুষ ঠিক কার পক্ষ নেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -