এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সরকারি বহু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ? এবার বড়সড় মুশকিলে পড়তে চলেছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী?

সরকারি বহু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ? এবার বড়সড় মুশকিলে পড়তে চলেছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকরোনা আবহের শুরু থেকেই রাজ্য প্রশাসনের দিকে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে শুধুমাত্র বিরোধী দল নয়, রাজ্যের আমজনতাও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। আর তারপরেই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার দুর্নীতি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক সেরকমই রায়গঞ্জের একটি ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

অভিযোগ উঠেছে সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এর দিকে। সেই সূত্রে এবার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের জেল হেফাজত হলো বলে জানা গেছে। রায়গঞ্জ ব্লকের 4 নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লায়লা খাতুন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি সরকারি বহু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রায়গঞ্জের বিন্দোলের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়ে আসছে। এমনকি গত বছর এই নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছে বলে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, গত বছর রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান লায়লা খাতুন এর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, মহকুমা শাসক এবং জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বলে খবর। কোন অবস্থাতেই লায়লা খাতুনকে আটকাতে না পেরে এরপর সাধারণ মানুষ সরাসরি তাঁদের অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তারপরেই জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনিক স্তরে একাধারে তদন্ত যেমন চলতে থাকে, অন্যদিকে বিন্দোল এর বাসিন্দারা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীকালে লায়লা খাতুনকে পত্রপাঠ বরখাস্ত করা হয় তাঁর জায়গা থেকে অর্থাৎ পঞ্চায়েত প্রধানের আসন থেকে তাঁকে সরতে হয় উপরমহলের চাপে। পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বে আসেন বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এরপর থেকেই লায়লা খাতুন পুরোপুরি ফেরার হয়ে যান বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন পর লায়লা খাতুন গ্রামে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিনের আশায়। কিন্তু তার জামিন রায়গঞ্জ আদালত পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় এবং তাকে 14 দিনের জেল হেফাজত দেয় বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই বলছেন, লায়লা খাতুনকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হলেও এখনো তিনি দলীয় কর্মী হিসেবে রয়ে গেছেন। এবং সেখানেই উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কর্মীকে যদি দল এখনো রেখে দেয় তাহলে তা সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনেই আসছে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উচিত নিজেদের দলীয় ভাবমূর্তিকে আরো স্বচ্ছ রাখা। আপাতত লায়লা খাতুন কেস কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!