এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিডিও অফিসের স্ট্যাম্প জাল করে লক্ষ লক্ষ টাকার টেন্ডার বের করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

বিডিও অফিসের স্ট্যাম্প জাল করে লক্ষ লক্ষ টাকার টেন্ডার বের করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃণমূলের নানা স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে কার্যত কোণঠাসা হয়েছে ঘাসফুল শিবির। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। কিন্তু শুধু দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করাই নয়, কার্যত বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের নানা ছোট, বড়, মেজো নেতাদের বিরুদ্ধে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ।

এবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে পাঁচটি প্রকল্পের টেন্ডার পাস করাতে বিডিও অফিসের স্ট্যাম্প এবং রিসিভিং সিগনেচার জাল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত 2020-21 অর্থবর্ষে মালদহের মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে যে, বিডিও অফিসের সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার জাল রয়েছে।

ফলে গোটা ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে 80 লক্ষ টাকার টেন্ডারে ব্যাপক অনিয়মের খবর পাওয়ায় এখন তদন্তের পর রীতিমত চক্ষু ছানাবড়া অনেকের। যেভাবে বিডিও অফিসের সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার জাল করা হয়েছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “বিডিও অফিসের সিল এবং রিসিভিং সিগনেচার চালু করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বড় ধরনের অপরাধ। স্বয়ং বিডিওর অভিযোগ থেকে প্রমাণিত, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে কিভাবে লুটের কারবার চলছে। এটাই ওদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি‌। এদিন মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত তা প্রমাণ করে দিল।” কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? এদিন এই প্রসঙ্গে মদনাবতী পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং সিগনেচার বিডিও অফিস থেকে করানো হয়েছিল। অন্যান্ন অফিসেও নিয়ম মেনে রিসিভ করিয়েছি। বিষয়টি প্রচার মাধ্যমকেও অবগত করা হয়েছিল। এখানে উন্নয়নের জন্য টেন্ডার আমরা করেছি। কিন্তু উন্নয়নে বাধা দেওয়ার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে বলে মনে হয়। এতে দলের একাংশের যোগসাজশ থাকতে পারে। তবে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সব ধরনের তদন্তের জন্য তৈরি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হয়নি।” তাহলে কি প্রধানের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এটা প্রমাণিত যে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অবশ্য সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন বামনগোলা ব্লক তৃণমূল নেতা অমল কিস্কু। এদিন তিনি বলেন, “দলে কোথাও কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নেই। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কি হয়েছিল, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো নিয়ম বহির্ভূত কাজ হয়ে থাকলে সেটা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বারবার কড়া বার্তা দিচ্ছেন। নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ। কিন্তু তারপরেও এবার যেভাবে মালদহের এই পঞ্চায়েতের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা চোখে পড়ল, তাতে ব্যাপক চাপে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। এখন তদন্তে কি উঠে আসে এবং তাতে অভিযুক্তরা সাজা পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!