এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের আগে বড় ধাক্কা, তৃণমূলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! মাথায় হাত মমতার!

ভোটের আগে বড় ধাক্কা, তৃণমূলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! মাথায় হাত মমতার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সময়টা হয়ত একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক দুর্নীতি, সন্দেশখালি বিভিন্ন ইস্যু তো রয়েছেই। তার মধ্যে ভোটের মুখে বড় ধাক্কা খেলো তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে তৃণমূলের প্রায় 10 কোটির বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হলো। আর তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এবার নির্বাচনের বিতরণী ঠিকমতো পার হতে পারবে তো এই রাজ্যের শাসক দল? তারা তো বড় বড় আওয়াজ দিচ্ছে যে, তারা নাকি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে পদক্ষেপ নিল, তারপর তাদের মুখ তারা কোথায় লুকাবে?এমনিতেই তো নারদা থেকে সারদা, বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের অনেক নেতার নাম জড়িয়েছে। আর এবার অ্যালকেমিস্টের মত চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীর নাম জড়ানোর কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর তার ফলেই লোকসভা নির্বাচনের আগে একটা চরম বিপদ ধেয়ে আসছে এই রাজ্যের শাসক দলের দিকে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডির পক্ষ থেকে তৃণমূলের প্রায় 10 কোটির বেশি টাকা সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়। যেখানে কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারের কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিলেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। যার মধ্যে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, মুনমুন সেন এবং নুসরাত জাহানরা। আর সেই টাকা মিটিয়েছিল এই অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড। যার ফলেই তৃণমূলের কোষাগার থেকে এই প্রচুর অর্থ সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাংশ বলছেন, দুর্নীতিতে যখন গোটা দলটা জর্জরিত, তখন এইরকম বিপদ তো আসবেই। সবে তো কোষাগার থেকে অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আগামী দিনে অনেক নেতা-নেত্রীরাও বাজেয়াপ্ত হবেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এভাবেই নিজেদের কোষাগার আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তারা নিজেদের দলকে পরিচালনা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন যে, এবার তিনি মনের আনন্দে খরচ করবেন, আর টাকা দিয়ে ভোট কিনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে যে পদক্ষেপ ইডি নিয়ে নিল, তাতে তৃণমূল যেমন মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেল, তাদের সততা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে গেল, ঠিক তেমনই ভোটের কাজে তারা কি করে খরচ করবে, কিভাবে তারা সবকিছু সামাল দেবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে। যার ফলে কার্যত মাথায় বাজ পড়লো তৃণমূল নেত্রীর। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!